FIR তুলে নিলে বিনোদকে আমরা চাকরি দেব! ফালাকাটা কান্ডে উঠে এল নয়া মোড়

133

ফালাকাটা কান্ডে এল নয়া মোড়। স্থানীয় সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল থেকে অদ্ভুত ভাবে উধাও হলেন অভিযুক্ত বিনোদ সরকার। কিন্তু আরও চাঞ্চল্যকরভাবে খুঁজে পাওয়া গেল তাঁকে। অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে বাড়ি নিয়ে যাওয়ার অছিলায় পুলিশ বাইকে চাপিয়ে তাঁকে নিয়ে যায় ফালাকাটার মানবাধিকার কর্মী সুকুমার ঘোষের বাড়িতে। সেখানে ছ’ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয় তাঁকে। দেখা করতে দেওয়া হয় নি পরিবারের কাউকে, কিন্তু ফালাকাটা থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন বলে ওই বাড়িতে বসেই সংবাদ মাধ্যমের কাছে দাবী করেন বিনোদ।

উল্লেখ্য, অভিযোগ, সোমবার জামিনে মুক্তি পাওয়ার পর মঙ্গলবার বেলার দিকে শারীরিক সমস্যা নিয়ে ফালাকাটা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি হন বিনোদ। চিকিৎসকরা পরীক্ষার জন্য ডে কেয়ার সেন্টারে রাখেন তাঁকে, এবং তাঁর পরিবারকে বলা হয় পরে আসতে। বিকেলে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে গেলে তাঁকে খুজে পান নি বলে জানান তাঁর পরিবারের সদস্যরা। এদিকে, হাসপাতালের সুপার চন্দন ঘোষ সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিদের বলেন, আমরা তাঁকে ইসিজি সহ অন্যান্য পরীক্ষার জন্য ডে কেয়ারে রাখি। এরপর তাঁকে বিভিন্ন ডাক্তার ও সাইকিয়াট্রিস্টরা দেখেন। তবে তেমন কিছু সমস্যা না থাকায় তাঁকে আমরা রিলিজ করে দিই।

উল্লেখ্য আদালত থেকে জামিন পেয়ে সম্ভবত শারিরীক ও মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েন বিনোদ। আত্মীয়রা বাড়ি ফিরতে বলেন তাঁকে, কিন্তু রাতে তাঁর উপর ফের প্রশাসনিক অত্যাচার হতে পারে, এই আশঙ্কায় বাড়ি না ফিরে বিকেলেই আলিপুরদুয়ারের জটেশ্বর এলাকায় এক আত্মীয়ের বাড়ি চলে যান তিনি বলে খবর পরিবার সূত্রে। এদিকে বিনোদের কাকা রতন সরকার জানান, আমরা জেলাশাসকের বিরুদ্ধে ফালাকাটা থানায় লিখিত অভিযোগ করব, এই বিষয়ে পরিবার ও এলাকাবাসীদের সাথে দফায় দফায় আলোচনা করে এফআইআর করতে যাই। থানায় তা জমাও নেওয়া হয়, কিন্তু আমরা রিসিভড কপি পাই নি। কারণ তাতে আধিকারিকের নাম রয়েছে।
এরপরে রাত হলে আমাদের বাড়িতে আসেন ফালাকাটা থানার পাঁচজন পুলিশকর্মী। আমাদের এফআইআর-এর বিষয়টি মিটিয়ে ফেলার অনুরোধ করতে থাকেন তাঁরা। বলা হয়, এফআইআর তুলে নিলে আমার ভাইপোকে চাকরি দেওয়া হবে। এইভাবে আমাদের ক্রমাগত প্রলুব্ধ করতে থাকেন। কিন্তু আমরা তাতে সাড়া দিই নি। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ ওঁরা চলে যান। তিনি আরও বলেন পুলিশ এইভাবে তাকে চাপে ফেলে মামলা তুলে নিতে বাধ্য করলে কিন্তু আমরা এর শেষ দেখে ছাড়ব।