প্রকাশ্যে এল জেলাশাসকের স্ত্রীর সঙ্গে বিনোদের বার্তালাপের স্ক্রীনশট!

510
ছবিটি সোশ্যাল মিডিয়া থেকে প্রাপ্ত

গত রবিবার থানায় ঢুকে পুলিশের সামনে এক অভিযুক্ত যুবককে অশ্রাব্য গালাগালি দিয়ে বেধরক মারধর করেছিলেন আলিপুরদুয়ারের জেলা শাসক নিখিল নির্মল । আর সে অভিযুক্ত যুবকের নাম হল বিনোদ কুমার সরকার। আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লকের হরিনাথপুরের বাসিন্দা সে। অভিযুক্ত যুবক শনিবার রাতে জেলাশাসক নিখিল নির্মলের স্ত্রীকে সোশ্যাল সাইটে অশালীন মন্তব্য করে বলে জানা যায়। এরপরই ওই যুবককে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ সুপার সুনিল কুমার যাদবকে নির্দেশ দেন জেলা শাসক নিখিল নির্মল। পুলিশ সুপারের নির্দেশ পেয়ে শনিবার রাতেই ওই যুবককে গ্রেপ্তার করে ফালাকাটা থানার পুলিশ। এরপর থানায় ঢুকে অভিযুক্ত যুবককে বেধরক মারধর করেন জেলা শাসক নিখিল নির্মল ও তাঁর স্ত্রী। এই ঘটনার সময় পাশে দাঁড়িয়ে নিরব দর্শকের ভূমিকা পালন করে পুলিশ। থানার ভেতর পুলিশের সামনে অভিযুক্ত যুবকে মারধরের সঙ্গে অশ্রাব্য গালিগালাজ করতেও শোনা যায় জেলা শাসককে। তারপর অনেক জল গড়িয়েছে, তা আর বলার প্রয়োজন নেই! কারন সে সব কথা কারও কাছে আর অজানা নয় । কিন্তু কি এমন বার্তালাপ হয়েছিল সেই গ্রুপে তা যার জন্য এত জল গড়াল । আর এবার সেই তথ্যেই সবার সামনে তুলে ধরল Exposure’s Mania নামে একটি ফেসবুক পেজ । কিন্তু এর সত্যতা যাচাই করেনি independent 24×7। তবুও  দেখে নিন একবার সেই স্ক্রীনশট গুলি..

Share It বিনোদ দোষী নয়, দোষী নয় নিখিল. …. ৫ বছরে সারা রাজ্যে একটা আই.এ.এস বের হয়। মেধাবী সম্পদ ধ্বংসের জন্য এরকম এক…

Posted by Exposure's Mania on Wednesday, January 9, 2019

ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত
ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত
ফেসবুক থেকে প্রাপ্ত

প্রসঙ্গত, ফালাকাটা পুলিশ সূত্রে খবর অনুযায়ী,  জেলাশাসকের স্ত্রী নন্দিনী কৃষ্ণানকে একটি গ্রুপে অ্যাড করেন তাঁর ফেসবুক বন্ধু বিনোদ কুমার সরকার নামে ওই যুবক। অভিযোগ, তারপর থেকে বিনোদ নন্দিনীর উদ্দেশ্য করে আপত্তিকর মন্তব্য পোস্ট করে। বিষয়টি নিয়ে ফালাকাটা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপর পুলিশ গ্রেপ্তার করে বিনোদকে। তারপর জেলাশাসক ফালাকাটা থানার আইসি সৌম্যজিৎ রায়ের সামনেই বেধড়ক মারধর করেন অভিযুক্ত বিনোদকে। এরপর স্ত্রী নন্দিনী পুলিশকর্মীদের নির্দেশ দেন, “গাড়ি থেকে লাঠি বের করুন”। তার জবাবে কোনও এক পুলিশকর্মী বলেন, “লাঠি বের করা যাবে না”। জেলাশাসক বিনোদকে বলেন, “আমার জেলাতে আমার বিরুদ্ধে কেউ কথা বলবে না। তোমায় যদি আধ ঘণ্টার মধ্যে থানায় ঢুকিয়ে দিতে পারি, তাহলে তোমায় বাড়িতে গিয়ে মেরেও ফেলতে পারি।”