রাম মন্দিরের পক্ষে সাওয়াল মমতা দিদির!

73

লোকসভা নির্বাচনের প্রচারণা শুরুতেই কার্যত ঝড় তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি আর নরেন্দ্র মোদীকে তুলোধনা করছেন তিনি। অন্যথা হল না শনিবার আলিপুরদুয়ারের বারোবিশার সভাও। বললেন, ‘যারা কিছু করে না, নির্বাচনের সময় মিথ্যে ভাঁওতা দেয়, আর হিন্দু-মুসলিম করে তাঁদের ভোট দিলে ঠকবেন।’

উপস্থিত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ভোট দিন উন্নয়নের নিরিখে। আগে আপনাদের কাছে কেউ আসত না, খবর নিত না। এখন ভোট এসেছে। তাই এসে বলছে এটা করে দেব, ওটা করে দেব!’

সভায় তৃণমূল সরকারের উন্নয়নের কথা বলতে গিয়ে প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি। বলেন, ‘কী দিইনি আপনাদের! নতুন জেলা, উত্তরকন্যা, রাস্তাঘাট, সেতু, চা বাগানের সমস্যা যতটা পারা যায় সমাধান করেছি, আগামীদিনে আরও করব!’ উপস্থিত জনতা চিৎকার করে তাঁর কথায় সম্মতি জানান। মমতা বলেন, ‘বিজেপির কথা শুনে ভুল রাস্তায় যাবেন না। বিজেপি টাকা দিয়ে ভোট লুট করে। শুধু মুখেই রাম মন্দির, একটাও মন্দির গড়তে পারে না দলটি।

প্রায় প্রতিটি সভাতেই নিয়ম করে বিজেপিকে আক্রমণ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার আলিপুরদুয়ারের কালচিনিতে বললেন, নরেন্দ্র মোদী সবসময় ধমকাচ্ছে, চমকাচ্ছে, গুলির সামনে লড়াই করে বেঁচে রয়েছি। এখানে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার রয়েছে। বিজেপির টার্গেট বাঙালি তাড়ানো, আদিবাসী তাড়ানো, মুসলিম তাড়ানো। এনআরসি করতে দেব না। বাংলায় বিয়াল্লিশে শূন্য পাবে বিজেপি। বাঙালি তাড়ানো বেরিয়ে যাবে।

শনিবার দুটি সভাতেই আলিপুরদুয়ারের বিজেপি প্রার্থী জন বারলাকে নিয়ে সরব হন মমতা। তার কথায়, বিজেপি প্রার্থী দাঙ্গা করায় অভিযুক্ত। জন বারলাকে প্রার্থী করে অশান্তি ছড়াতে চাইছে বিজেপি। যতদিন তৃণমূল থাকবে, ততদিন কোনও দাঙ্গা করতে দেব না। তুলে আনেন নোটবন্দির প্রসঙ্গও। কালচিনির সভায় মমতা বলেন, নোটবন্দি সবথেকে বড় কেলেঙ্কারি।