অভিষেকের সভার আগেই ফালাকাটার বিধায়কের ভাইপোর মিল থেকে উদ্ধার চোরাই কাঠ!

342

বেআইনিভাবে সেগুন কাঠের লগ চেরাই মজুত রাখার অভিযোগে ফালাকাটার তৃনমূল বিধায়ক অনিল অধিকারির ভাইপো গোবিন্দ অধিকারির করাত কলে তালা ঝোলালো বন দপ্তর। শুক্রবার দুপুরে বনদপ্তরের দলগাঁও ও মাদারিহাট রেঞ্জ যৌথভাবে এই অভিযান চালায়। এদিনের অভিযানে  করাত কল থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় ৭টি সেগুন কাঠের লগ সহ প্রচুর চেরাই করা সেগুন কাঠ। জানা গিয়েছে, উদ্ধার হওয়া কাঠের বাজারমূল্য দুই লক্ষাধিক টাকা। বন দপ্তরের মাদারিহাটের রেঞ্জ অফিসার খগেশ্বর কার্জী বলেন, ‘বাজেয়াপ্ত হওয়া সেগুন কাঠগুলির কোন বৈধ কাগজ দেখাতে পারেনি করাত কল কর্তৃপক্ষ। সেগুন কাঠের লগগুলি মাত্র ২-৩ দিন আগেই জঙ্গল থেকে কেটে আনা হয়েছে। এছাড়া করাত কলের ভেতর চেরাই করা প্রচুর সেগুন কাঠের তক্তা মিলেছে। আমরা লগ সহ সমস্ত সেগুন কাঠ বাজেয়াপ্ত করে করাত কলটিতে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছি।
এদিকে, আগামী ৭ তারিখ ফালাকাটাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। তার আগে এই ঘটনায় শাসক দলের জেলা নেতৃত্ব ও বিধায়ক যথেষ্ট চাপে পড়ল বলে ধারণা। সিপিএমের জেলা সম্পাদক মৃণালকান্তি রায় বলেন, বিধায়ক দায়িত্ব এড়াতে পারেন না। দলের ভাবমূর্তি রক্ষার্থে শাসক দল নিশ্চয়ই এই ঘটনা ধামাচাপা দেবে না। বিজেপি’র জেলা সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা বলেন, গোটা তৃণমূল দলটাই চলছে সারদার টাকায়। ফলে তৃণমূলের ফালাকাটা বিধায়কের ভাইপোর কাঠের মিল থেকে চোরাই কাঠ উদ্ধার হবে এ আর নতুন কী? যদিও তৃণমূল নেতাদের কাছে এটা একটা ছোটখাটো ঘটনা। কিন্তু আমাদের দাবি, চোরাই কাঠের ঘটনার প্রকৃত তদন্ত করে দোষীদের কঠোর শাস্তি দিতে হবে। অনিলবাবু অবশ্য বলেন, কমলেশকে বহুবার সতর্ক করেছিলাম। কিন্তু সতর্ক করার পরেও সে নিজেকে শোধরায়নি। এই ঘটনার সঙ্গে আমার কোন সম্পর্ক নেই। আইন আইনের পথে চলবে। বনমন্ত্রী বিনয়কৃষ্ণবাবু বলেন, অনিলবাবুর মতো নিপাট ভদ্রলোক হয় না। তাঁর কোনও আত্মীয় যদি এধরনের কাজ করে থাকে সেখানে বিধায়কের কোন দায়িত্ব থাকতে পারে না। তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা বলেন, বিধায়ক অনিলবাবু ও বনমন্ত্রী ঠিকই বলেছেন এই ঘটনায় বিধায়কের কি দায়িত্ব থাকতে পারে। আসলে বিধায়ককে ফাঁসানোর চেস্টা হচ্ছে।