সারা দেশজুড়ে করোনার ত্রাহি ত্রাহি রব। আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিনই তিন থেকে চার লক্ষের মধ্য ঘোরাফেরা করছে। আর এবার ভারতের এই পরিস্থিতি নিয়ে মুখ খুললেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান বিজ্ঞানী সৌম্য স্বামীনাথন। তাঁর মতে অত্যন্ত দুশ্চিন্তাজনক পরিস্থিতির ওপর দিয়ে যাচ্ছে ভারত। মূলত, এক সাক্ষাতকারে সৌম্য স্বামীনাথন জানিয়েছেন, ইনস্টিটিউট ফর হেলথ ম্যাট্রিকস অ্যান্ড এভালুয়েশন (আইএইচএমই)-র তৈরি মডেল আর সংগৃহীত তথ্য অনুযায়ী আগস্টে ভারতে মৃতের সংখ্যা ১০ লক্ষে পৌঁছাতে পারে। তবে এমনই নয় যে এটা ভবিষ্যদ্বাণী, এর পরিবর্তন হতেই পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন, ভারত-সহ দক্ষিণপূর্ব অঞ্চলের দেশগুলিতে প্রতিদিন যে সংখ্যক রোগী সংক্রামিত হচ্ছে, মারা যাচ্ছে, তাতে আমাদের ভীষণ চিন্তা হচ্ছে। আর আমরা এটা বুঝতে পারছি যে এই সংখ্যাটা কমিয়ে বলা হচ্ছে। এমনকি বিশ্বের প্রতিটি দেশই তাদের প্রকৃত সংখ্যা থেকে কমিয়ে জানাচ্ছে । তাই ভারত সরকারের উচিত সঠিক সংখ্যা জানানোর ব্যবস্থা করা। কারণ যত ভালো করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারব, ততই আমাদের সচেতন থাকতে হবে।
তবে আবার লকডাউন বেঁছে নেওয়ায় হু-র এই বিজ্ঞানী বলছেন, “এই ভ্যারিয়ান্টের ছড়িয়ে পড়ার প্রবণতা, এর প্রভাব কতটা ভয়ানক, এমনকি ভ্যাকসিন নেওয়ার পরেও শরীরে অ্যান্টিবডির সঙ্গে লড়বার ক্ষমতা কীরকম, এই বিষয়গুলি নিয়ে গবেষণা শুরু হয়েছে। তবে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যা হচ্ছে, তাতে “জিনোম সিকুয়েন্সিং করলে পুরো ছবিটা পরিষ্কার হবে না। জানা যাবে না এর সংক্রমণের তীব্রতা কেমন, কতটা বিপজ্জনক বা তোমার চিকিৎসায় এর প্রভাব কতটা । তাই বিজ্ঞান, জনগণের স্বাস্থ্যনীতি সংক্রান্ত তথ্যের উপর নির্ভর করে সবার আগে একটা শক্তিশালী নেতৃত্ব তৈরি করতে হবে। আর চিকিৎসা চললেও সেটাকে সময়ে সময়ে আপডেট করা দরকার। আর কেউ করোনার ভ্যাকসিন নিল মানেই তার আর সংক্রমণের সম্ভাবনা নেই, এমনটা নয়? কোথাও যাওয়ার ক্ষেত্রে হয় আপনি সংক্রমণটা চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছেন অথবা অ্যাসিম্পটোমেটিক হলে অন্যকে সংক্রামিত করতেই পারেন। আর এর নৈতিক বিতর্ক হল যে সবাই ভ্যাকসিনেশনের সুবিধা পাননি এখনো।