চীন নয় ভারতই আবিষ্কার করে ফেলল করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের প্রথম ওষুধ!

902

সৌরভ দত্তঃ চীনে মহামারি আকারে ছড়িয়ে পড়া করোনা ভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৭০ জনে দাঁড়িয়েছে। তিব্বতসহ চীনের মূল ভূখণ্ডের সর্বত্র এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়েছে। চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৯ জানুয়ারী পর্যন্ত এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৭১১ জনে। তবে বর্তমানে চীন পেরিয়ে এই ভাইরাস এশিয়া-ইউরোপ সহ বিশ্বের আরো ১৮টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এবার চীনের প্রতিবেশি দেশ ভারতেও ঢুকে পড়েছে করোনা ভাইরাস। মূলত, কেরালায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক ছাত্রের সন্ধান পাওয়া গেছে বলে বিবৃতি দিয়েছে কেরালার স্বাস্থ্য দপ্তর।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে টুইট করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। আক্রান্ত ছাত্র উহান বিশ্ববিদ্যালয়ের। আপাতত তাকে হাসপাতালে আলাদা জায়গায় রাখা হয়েছে। জানা গেছে, আরো ছয়জনকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। কেরালার স্বাস্থ্যমন্ত্রী কে কে শৈলজা স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে জরুরি বৈঠকে বসেছেন। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন স্বাস্থ্য দপ্তরের অন্য প্রতিনিধিরা। এখন পর্যন্ত চীন বা অন্য কোনো দেশ এই ভাইরাসের কোনো টিকা বা প্রতিষেধক আবিষ্কার করতে পারেনি। এমন পরিস্থিতিতে ভারত জানাচ্ছে এই ভাইরাস মোকাবিলার ওষুধ তাদের কাছে রয়েছে। তবে তা ভ্যাকসিন বা অ্যালোপ্যাথি ওষুধ নয়, হোমিওপ্যাথিতেই করোনা প্রতিরোধ করা যাবে বলে জানাচ্ছে তারা।

দেশটির আয়ুর্বেদ মন্ত্রণালয়ের এক টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছে, হোমিওপ্যাথি চিকিত্সায় করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ করা যায়। করোনা আক্রান্তের উপসর্গ সারানোর জন্য ইউনানি ওষুধ অত্যন্ত কার্যকর বলে জানানো হয়েছে। এর জন্য একটি নির্দেশিকাও জারি করা হয়। কী করা উচিত, কী করা উচিত নয় তার একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এমনকি কি ওষুধ খেতে হবে, তা-ও বলা হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় আয়ুর্বেদ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আরসেনিকাম অ্যালবাম ৩০ নামের ওষুধটি এই ভাইরাস প্রতিরোধে সক্ষম।

এদিকে আয়ুর্বেদ মন্ত্রকের এই নির্দেশিকায় তুমুল বিতর্ক তৈরি হয়েছে। চিকিত্সাশাস্ত্রে হোমিওপ্যাথি কতটা ‘বিজ্ঞানসম্মত’ তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটিজেনরা। কেউ কেউ পরামর্শ দেন ইউনানি মেডিসিন পড়ুয়াদের আগে মাইক্রোবায়োলজি নিয়ে পড়া উচিত। করোনার মতো অত্যন্ত স্পর্শকাতর ভাইরাস মোকাবিলায় আদৌ হোমিওপ্যাথি চিকিত্সা প্রযোজ্য কিনা তা এখনও প্রমাণ হয়নি।