কর্ণাটকের হারের দায় কার ঘাড়ের উপর চাপানো যায়? লোক খুঁজছে বিজেপি

হিমাচলপ্রদেশের পর এবার কর্ণাটক। ৬ মাসের মধ্যে বিজেপির হাত থেকে আরও একটি রাজ্য ছিনিয়ে নিয়েছে কংগ্রেস। লোকসভা ভোটের আগে এই জয়ে আত্মবিশ্বাসী কংগ্রেস শিবির। এদিকে ২৪-এর আগে জোর ধাক্কা খেয়েছে বিজেপি। একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে কর্ণাটকের মসনদে কংগ্রেস বসলেও অভিনন্দন জানিয়ে টুইট করেছেন প্রধানমন্ত্রী। পাশাপাশি বিরোধী দলগুলির মতে ‘আজ কর্ণাটক যা ভাবছে, কাল তা ভাববে ভারত’।

প্রসঙ্গত, মোদী-অমিত শাহ মিলে সত্তরেরও বেশি জনসভা ও ‍র‍্যালি করেছিলেন কর্ণাটকে! তাও শেষরক্ষা হল না! মুল্য, এবার নির্বাচনে বজরংবলী, হিজাব বিতর্কের মতো ইস্যুকে সামনে রেখেছিল বিজেপি । পাল্টা দুর্নীতির অভিযোগকে সামনে রেখে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারে ঝড় তুলেছিল কংগ্রেস।

যদিও প্রচারের শেষলগ্নে প্রধানমন্ত্রী দু’দিন টানা বেঙ্গালুরু এবং বৃহত্তর বেঙ্গালুরুতে রোড শো করেছিলেন মোদী। সেই এলাকাগুলিতেও বেশিরভাগ আসনে জিতেছে কংগ্রেস। মোদী যে ৪২ আসনে ভোটপ্রচার করেছিলেন, সেগুলিতে বিজেপির স্ট্রাইক রেট ৪০ শতাংশের কাছাকাছি। অন্যদিকে, রাহুল গান্ধীর স্ট্রাইক রেট প্রায় ৭০ শতাংশ। তিনি অবশ্য মোটে ২২টি কেন্দ্রে প্রচার করেন। এদিকে বিজেপি এখন ভাবছে, এই হারের দায় চাপানো যায় কার উপর? প্রধানমন্ত্রী যে ব্যর্থ হয়েছেন, সেটা মানতে নারাজ গেরুয়া শিবির। উলটে গেরুয়া শিবির এই দায় চাপানোর লোক খুঁজছে। প্রথমেই নিশানা করা হচ্ছে স্থানীয় নেতৃত্বকে। শোনা যাচ্ছে, এই হারের দায় চাপানো হতে পারে দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডার উপরও। পাশাপাশি, বিজেপির অন্দরমহলের কথা, কর্ণাটকে এমনিতেই দলের অবস্থা খুব খারাপ ছিল। ৪০ আসনে নেমে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল। প্রধানমন্ত্রী শেষবেলায় গিয়ে হাল না ধরলে আরও বেহাল হতো পরিস্থিতি।

বলা বাহুল্য গতকাল ফলাফল ঘোষণার আগে সেলিব্রেশনের আয়োজনও হয়েছিল দিল্লির দীনদয়াল উপাধ্যায় মার্গের বিজেপি অফিসে। বেলা বাড়তেই সেই পার্টি অফিস এক্কেবারে শুনশান। এমনকি পার্টি অফিসের বাইরে দেখা গেল প্রধানমন্ত্রীর ছবি সম্বলিত একটি পোস্টার ছিঁড়ে পড়ে রয়েছে। এরপরে বিরোধী দলগুলির মত ‘আজ কর্ণাটক যা ভাবছে, কাল তা ভাববে ভারত’।