বিজেপির শেষের শুরু! একক ভাবে মাত্র ৯টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে মোদী সরকার

শেষ সাত দিনে মোদী ২১টি জনসভা করা সত্ত্বেও, কর্ণাটকে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। যদিও নির্বাচন ঘোষণার আগে থেকে প্রচার শেষ হওয়ার আগের দিন পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী কর্নাটকে যাবার পাশাপাশি পোস্টার, ব্যানার, প্ল্যাকার্ড, কাট আউটে স্রেফ মোদীর মুখ প্রাধান্য পেয়েছে। এমনকি, কর্ণাটকের বিজেপির শীর্ষ নেতারা প্রতিটি ভোট যেন মোদীকে দেন, এবলে জনতার কাছে আবেদন করেছেন তাঁরা। আর মোদীর এই বহুমুখী প্রচার সত্ত্বেও এভাবে মুখ থুবড়ে পড়ার পর স্বাভাবিকভাবেই বিরোধী দলেরা এই ফল ‘মোদীর পরাজয়’ বলে বর্ণনা করছেন।

বস্তুত, কর্ণাটকের এই পরাজয়ের পর বিজেপি দাক্ষিণাত্যের একমাত্র বড় রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ হারাল, এমনটাই মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। মূলত, শনিবার কর্ণাটকে হারের পর দক্ষিণ ভারতে ক্ষমতা থেকে পুরোপুরি গেরুয়া মুক্ত হয়ে গেল। দক্ষিণের পাঁচটি রাজ্য অন্ধ্রপ্রদেশ, কেরল, তামিলনা়ড়ু, তেলঙ্গানা এবং কর্নাটকের মধ্য একটিও আর বিজেপির হাতে রইল না। বলা বাহুল্য, দক্ষিণের ক্ষমতার দরজা আপাতত পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেল বিজেপির কাছে। এরই পাশাপাশি, দেশের ২৮ টি রাজ্য এবং দু’টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল মিলিয়ে মোট ৩০ টি সরকারের অর্ধেক এখন বিরোধী দলগুলির দখলে। প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে বিজেপির শাসনাধীনে রয়েছে ১৫টি সরকার। হিসেব বলছে, ভারতে বিজেপি একক ক্ষমতায় ৯টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। বিজেপির শরিক দলগুলি ক্ষমতায় রয়েছে ৬টি রাজ্যে। বিজেপি বিরোধী বলে পরিচিত আঞ্চলিক দলগুলির হাতে রয়েছে ৮টি রাজ্য। কংগ্রেস এবং কংগ্রেস সমর্থিত দলগুলি ৭টি রাজ্যে ক্ষমতায় রয়েছে। শনিবার সেই তালিকায় যুক্ত হয়েছে কর্ণাটকের নামও। এদিকে, এবছরের শেষে বিধানসভা ভোট রয়েছে রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ এবং ছত্তীসগঢ়ে। এখনও দেখার, কর্ণাটকে একজোট হয়ে লড়ে কংগ্রেস যেভাবে জয় ছিনিয়ে এনেছে, সেভাবে এই রাজ্যগুলিতেও, কোন্দল ভুলে বিজেপির বিরুদ্ধে ঝাঁপাতে পারবে কংগ্রেস? না কি কামব্যক করবে বিজেপি?