JEE ও NEET পিছনোর দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন ৭ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী

40

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নিট ও জেইই পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার দাবিতে গতকাল অর্থাৎ বুধবার সোনিয়া ও মমতার ডাকে একটি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসেন সাত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা। তাদের মধ্যে ছিলেন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন, রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং, ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল এবং পুদুচেরির মুখ্যমন্ত্রী ভি নারায়ণস্বামী। তবে অনুপস্থিত ছিলেন কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী সেই বৈঠকে মমতা বলেন, করোনার এই আবহে জেইই (JEE)-পিছিয়ে দিতে হবে। এর জন্য মুখ্যন্ত্রীদের সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া উচিত। গণতন্ত্রের নামে কেন্দ্র রাজ্যগুলির ওপরে বুলডোজার চালাচ্ছে। চলুন সুপ্রিম কোর্টে যাই। এনিয়ে সেখানেই আলোচনা হোক। সেই বৈঠকে মমতা আরও জানান, মমতা জানান, ‌JEE ও NEET পরীক্ষা নিয়ে ২৬ লাখ পড়ুয়া মানসিক চাপে আছেন। একরম স্বৈরতান্ত্রিক সরকার দেখিনি। পরীক্ষার্থীদের কথা ভেবে আমাদের সরব হতেই হবে।

এদিকে জানা গিয়েছে, আজ ৭টি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন বিচার চাইতে। অন্যদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে ‌JEE ও NEET পিছনোর দাবিতে এবার পথে নামছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। আগামীকাল ২৮ অগাস্ট অর্থাত্‍ শুক্রবার দলের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী। ওই দিনই গান্ধিমূর্তির পাদদেশে অবস্থান বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে টিএমসিপি-র। সেখানে JEE ও NEET পিছনোর দাবিতে অবস্থান সত্যাগ্রহ পালন করবে শাসক দলের ছাত্র পরিষদ।

উল্লেখ্য, আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে JEE। কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী রমেশ পোখরিওয়াল কাল সাফ জানিয়ে দিয়েছেন অভিভাবকরা পরীক্ষা চাইছিলেন। এটা তাদের ভবিষ্যতের প্রশ্ন। এদিকে সুপ্রিম কোর্টও পরীক্ষা পিছিয়ে দেওয়ার আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। শীর্ষ আদালত তার রায়ে জানিয়েছে, জীবন থেমে থাকতে পারে না। পড়ুয়ারা কি একটা গোটা বছর নষ্ট করতে চায়!