দেহব্যবসার জন্য দেওয়া হতো চাপ! অঙ্কিতা ভাণ্ডারী মৃত্যুতদন্তে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

যতক্ষণ না ময়নাতদন্তের রিপোর্ট সামনে আসছে ততক্ষণ মেয়ে অঙ্কিতা ভাণ্ডারীর শেষকৃত্য করবে না জানিয়ে দিল পরিবার। তবে প্রশাসন চেষ্টা করছে পরিবারকে রাজি করাতে যাতে তাঁরা নিয়ম মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন । অঙ্কিতার ভাই অজয় সিং ভাণ্ডারী বলেন, “আমরা যতক্ষণ না বোনের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাচ্ছি ততক্ষণ শেষকৃত্য করব না । আমরা একটি প্রাথমিক ময়নাতদন্তের রিপোর্ট এর আগে পেয়েছি । তাতে উল্লেখ ছিল, অঙ্কিতাকে মারধোর করা হয়েছিল এবং তারপর তাঁকে নদীতে ফেলে দেওয়া হয় । কিন্তু আমরা চূড়ান্ত ময়নাতদন্তের রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি ৷ তারপরই শেষকৃত্য হবে ।” এদিকে এই ঘটনা ঘিরে গত কয়েকদিন ধরে তুমুল চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে । একদিন আগেই ওই রিসোর্টটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী । এছা়ড়া ওই রিসোর্টের মালিক এবং দুই কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে । রিসোর্টের মালিক বিজেপি নেতা বিনোদ আর্যর ছেলে পুলকিত আর্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।

উল্লেখ্য, অঙ্কিতা পাউরি জেলার শ্রীকোট গ্রামের বাসিন্দা । ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে নিখোঁজ ছিলেন অঙ্কিতা । এরপর তরুণীর পরিবারের তরফে পুলিশে মিসিং ডায়েরি করা হয় । তারপর শনিবার সকালে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। অভিযোগ উঠেছে তিনি যে রিসর্টে কর্মরত ছিলেন সেখানে তাঁকে দেহব্যবসার জন্য চাপ দেওয়া হচ্ছিল। এই সম্পর্কিত একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট প্রকাশ্যে এসেছে । এক বন্ধুকে ওই চ্যাটে অঙ্কিতা বলেন, পুলকিত আর্য ( বিজেপির নেতা বিনোদ আর্য ছেলে) এবং অঙ্কিত গুপ্তা তাঁকে ভিআইপি অতিথি হিসেবে ‘বিশেষ পরিষেবা’ দিতে বাধ্য করছে । একইসঙ্গে ঘটনার রাতে রিসোর্টের রাঁধুনির সঙ্গেও কথা বলেন অঙ্কিতা ভাণ্ডারী। রিসর্টের রাঁধুনি করণকে অঙ্কিতা কাঁদতে কাঁদতে তাঁর ব্যাগ নিয়ে নেমে আসতে বলেন । এরপর ফোনটির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । করণ পুলিশকে জানিয়েছেন, তিনি ব্যাগ নিয়ে অঙ্কিতার উল্লেখিত জায়গায় গিয়েছিলেন, কিন্তু সেখানে কেউ ছিল না । এটাই ছিল অঙ্কিতার শেষ কল ।