দেশে বেকারত্ব দূর করাই মোদির কাছে হয়ে উঠবে এবার বড় চ্যালেঞ্জ

73

বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ফের দিল্লির মনসদে বসেছে মোদি সরকার। এককথায় ভোটবাক্সের গনদেবতারা ফের একবার মোদিকে সুযোগ দিয়েছে । আর মোদি সেটা ভালো করেই বুঝতে পেরেছেন, তাই এবার আর নেহরু, গান্ধী পরিবার ও কংগ্রেসকে দোষারোপ নয়, এবার বেকারদের জন্য কিছু করে দেখানোর। অর্থাৎ ভারতবর্ষে বেকারত্ব দূর করাই মোদির কাছে এবার বড় চ্যালেঞ্জ। যার প্রস্তুতি আজ থেকেই শুরু হয়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, দ্য ন্যাশনাল স্যাম্পল সার্ভে-র সমীক্ষা গত জানুয়ারি মাসে জানিয়েছিল, নোটবন্দির পর ভারতে বেকারত্ব বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে । ২০১৭-১৮ আর্থিক বছরে ভারতের বেকারত্ব বেড়েছে ৬.১ শতাংশ। গত ৪৫ বছরে যা রেকর্ড। সাথেই ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০১৮ সালের জুনের মধ্যবর্তী সময়ে তথ্য সংগ্রহ করে পিরিওডিক লেবার ফোর্স সার্ভে করা হয়েছিল, সেখানে জানানো হয়েছিল, ১৯৭২-৭৩ সালের পর থেকে বেকারত্ব এই হারে বাড়েনি৷ ২০১১-১২ সালে ইউপিএ সরকারের শেষ দফায় বেকারত্বের হার ২.২ শতাংশ৷ রিপোর্ট বলছে, দেশের মোট জনসংখ্যার নিরিখে যুবসম্প্রদায়ের মধ্যে বেকারত্বের হার সবচেয়ে বেশি৷ দেশের গ্রামীণ এলাকায় ২০১১-১২ সালে যেখানে বেকারত্বের হার ছিল ৫ শতাংশ, ২০১৭-১৮ সালে তা বেড়েছে ১৭.৪ শতাংশ৷ গ্রামীণ এলাকায় মহিলাদের মধ্যে বেকারত্ব বেড়েছে ১৩.৬ শতাংশ।

প্রসঙ্গত, বিশেষজ্ঞ মহলের মতে, আগামী পাঁচ বছর অর্থনীতিকে সঠিক পথে নিয়ে এসে শিল্প, কৃষি, ব্যবসা এবং কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিতেই হবে মোদি সরকারকে। আর সেই পদক্ষেপের প্রতিফলনই দেখা যাবে আসন্ন বাজেটে। ভোটে জিতে সংস্কারের পথেই হাঁটবেন নির্মলা সীতারামন? নাকি ভারসাম্যের চেষ্টা করবেন, সেটাই দেখার। আগামী মাসের বাজেটে জনগণের জন্য যে খুব বেশি উপহার থাকবে না, তা স্পষ্ট। আপাতত কঠোর আর্থিক সংস্কারের মাধ্যমে অর্থনীতির স্বাস্থ্য ফেরানোই প্রধান চ্যালেঞ্জ। তবে সেই পথে হাঁটতে গিয়ে বেকার সংখ্যার বৃদ্ধিকে আর বিরোধীদের মিথ্যা প্রচার বলে উড়িয়ে দেওয়া যাবে না।

আবার এদিকে রাজনৈতিক মহলের প্রশ্ন উঠেছে লোকসভা ভোটের সময় প্রচারে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সব কৃষকদের জন্যই বছরে ৬ হাজার টাকার সহায়তা প্যাকেজ দেওয়ার সিদ্ধান্তও ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে নতুন করে আরও ১৫ কোটি কৃষক উপকৃত হবেন। ঘোষিত হয়েছে কৃষক, শ্রমিক ও ক্ষুদ্র দোকানিদের জন্য পেনশন। মাসে ৩ হাজার টাকা করে। কিন্তু প্রশ্ন হল এই জনমোহিনী ঘোষণাগুলির রূপায়ণের জন্য যে বিপুল আর্থিক বোঝা চাপবে রাজকোষে, সেটা আসবে কোথা থেকে।