নিষিদ্ধ হলেও, বিকল্প বেবি পাউডার তৈরির চিন্তা ভাবনা শুরু করল জনসন অ্যান্ড জনসন কোম্পানি

ক্ষতিকর অ্যাসবেস্টস থাকার কারনে ক্যানসার হতে পারে নবজাতকদের! এই অভিযোগ সামনে এনে ইতিমধ্যে মহারাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনস্ট্রেশনের তরফে বিবৃতি জারি করে জানানো হয়েছে,যে জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডারের মান ব্যবহারযোগ্য নয়। পুনে এবং নাসিক থেকে এই বেবি পাউডারের নমুনা সংগ্র করে তা পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে যে পাউডারের পিএইচ মান গ্রহণযোগ্য নয়। আর তাই মহারাষ্ট্রে এই পাউডার নিষিদ্ধ করা হল। আর এবার জনসন অ্যান্ড জনসনের বেবি পাউডার উৎপাদনের লাইসেন্স বাতিল করল মহারাষ্ট্র সরকার।

মূলত, ড্রাগস কসমেটিকস অ্যাক্ট-১৯৪০ সালের আওতায় এনে জনসনকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে বাজার থেকে পাউডারটি তুলে নেবার নির্দেশ দিয়েছে মহারাষ্ট্র সরকার। তবে এ সিদ্ধান্ত নাকচ করে দিয়েছে জেঅ্যান্ডজে। এ আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিট করবে আমেরিকা ভিত্তিক এই কোম্পানিটি। এদিকে সময় যত গড়াচ্ছে, জনসনের পণ্য নিয়ে বিতর্ক বাড়ছে। নেহাৎ মামলার সংখ্যাও কম নয়। ইতিমধ্যেই জনসন অ্যান্ড জনসনের বিরুদ্ধে ৩৮,০০০ মামলা করেছেন মহিলারা। তাঁদের অভিযোগ, জনসনের প্রোডাক্টে অ্যাসবেস্টস নামের ক্ষতিকারক উপকরণ রয়েছে। যে কারণে মহিলারা ডিম্বাশয়ের ক্যান্সারে আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও এই অভিযোগে আমল দিতে নারাজ কোম্পানি। জনসনের তরফে জানানো হয়েছে, কয়েক দশকের গবেষণায় দেখা গিয়েছে, এই পণ্যগুলি ব্যবহার করা নিরাপদ। বলা বাহুল্য, অতীতেও আমেরিকাতে এক মামলায় ২২ জন মহিলাকে না ২০০ কোটি ডলার ক্ষতিপূরণ দেয় জনসন। আর ২০২০ সালে যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডায় বিক্রি বন্ধ করে কোম্পানিটি। সেসময় অভিযোগ ওঠে, বেবি পাউডারে ক্যান্সার সৃষ্টিকারী ক্ষতিকর উপাদান অ্যাসবেস্টস রয়েছে।উল্লেখ্য, গত আগস্ট মাসে বিশ্বজুড়ে ২০২৩ সালের মধ্যে ট্যালকম বেবি পাউডারের উৎপাদন বন্ধ করার ঘোষণা করে জনসন। বিকল্প হিসেবে ভবিষ্যতে কর্নস্টার্চভিত্তিক বেবি পাউডার তৈরি করবে তারা, বলে জানিয়েছিল।