ভাঙনের মুখে সিন্ধে ও বিজেপি জোট? ২৪’শের আগে মোদীর মাথাব্যথা বাড়াল মহারাষ্ট্র!

ভোটে হেরেও কিভাবে রাজ্যে সরকার গঠন করতে পারে গেরুয়া শিবির? এই প্রশ্ন তুলে বিজেপির প্রতি দল ভাঙানোর রাজনীতি অভিযোগ করে আসছে বিরোধীরা। তবে এই দল ভাঙ্গানোর রীতিমতো দুষ্কর হয়ে উঠেছে মোদী এবং শাহের কাছে। কারন দল ভাঙ্গানো কথাটি এখন ভোটবাক্সের গনদেবতারা ভালোভাবেই বুঝতে পেরেছেন। সেদিকে তাকিয়ে ইতিমধ্যে কর্ণাটকে ভোটে ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। এদিকে, বিজেপির অভ্যন্তরীণ দলীয় রিপোর্ট বলছে, কর্ণাটকের পুনরাবৃত্তি হওয়ার সবরকম পূর্বাভাস দেখা যাচ্ছে মধ্যপ্রদেশ ও রাজস্থান বিধানসভা নির্বাচনেও। ফলে গেরুয়া শিবির চরম আতঙ্কে। আর তার মধ্যেই মোদীর কপালে ভাঁজ বাড়াল মহারাষ্ট্র। কারন, সেরাজ্যের শাসক শিবিরে দেখা দিয়েছে তীব্র কোন্দল। আর জল্পনা বলছে, তার জেরে কার্যত ভাঙনের মুখে সিন্ধে-বিজেপি জোট। ঠিক কি নিয়ে এ কোন্দল শুরু হয়েছে।

এ প্রশ্নের উত্তরে রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছেন, মুখ্যমন্ত্রী সিন্ধে বনাম উপ মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফড়নবিশের প্রকাশ্য ঝগড়া! যদিও, এই ঝগড়া এতদিন রুদ্ধদার ছিল। তবে এই কোন্দল বা ঝগড়া প্রবল আকার নিয়েছে সামান্য একটি বিজ্ঞাপনকে কেন্দ্র করে। মঙ্গলবার বিভিন্ন সংবাদপত্রে প্রথম পাতাজুড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে নিজেকে মহারাষ্ট্রের সবথেকে প্রত্যাশিত মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে প্রচার করেছেন সিন্ধে। আর এই গোটা বিজ্ঞাপনে ছিল শুধু মোদী ও সিন্ধের ছবি। বলা বাহুল্য মহারাষ্ট্রে নিখুঁতভাবে অপারেশন পদ্ম চালানোর মূল কারিগর ফড়নবিশ হলেও,বিজ্ঞাপনে বিজেপি নেতা তথা উপ মুখ্যমন্ত্রী ফড়নবিশের উপস্থিতি ছিল নামমাত্র। যদিও এক সমীক্ষাতে বলা হয়েছিল, সিন্ধের তুলনায় কম জনপ্রিয় ফড়নবিশ। তা বলে কি ফড়নবিশকে প্রকাশ্যে গুরুত্বহীন হিসেবে প্রচার করবে সিন্ধে? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

বলাবাহুল্য, বিজ্ঞাপন নিয়ে তুমুল ঝগড়া শুরু হয়েছে সিন্ধে-বিজেপি সরকার ও জোটের অন্দরে। তারই পরিণতিতে দু’দিন ধরে সরকারি অনুষ্ঠান বয়কট করছেন ফড়নবিশ। বিশেষ করে যে অনুষ্ঠানে সিন্ধের উপস্থিত থাকার কথা, সেখানে তিনি যাচ্ছেন না। এমনিতেই এত কঠিন অপারেশনে সফল হয়েও, সরকার টিকিয়ে রাখার দায়ে উপ মুখ্যমন্ত্রীর মতো গুরুত্বহীন পদে থেকে যেতে হয়েছে তাঁকে। তাহলে কি এবারের এই অসম্মান মেনে নেবেন ফড়নবিশ? এখন দেখার মারাঠার এই নব সাম্রাজ্যের কি পরিনতি হয়?