পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ! আরাম করে আর যাওয়া যাবে না সিকিমে

২০১৮ সালে সিকিমে রাজধানী গ্যাংটকের কাছেই ‘পাকইয়ং বিমানবন্দর'( Pakyong Airport ) এর উদ্বোধন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মূলত,উদ্বোধনের পর থেকে এই বিমানবন্দরে পরিষেবা দিচ্ছিল স্পাইস জেট । তবে এবার এই বিমান সংস্থা অসামরিক বিমান মন্ত্রক জানিয়ে দিয়েছে , সেখানে তারা তাদের পরিষেবা বন্ধ করে দিতে চাইছে। জানা গিয়েছে, বিমান চালানোর কিছু চাহিদারকথা উল্লেখ করে পাকইয়ং বিমানবন্দরে তাদের পরিষেবা ‘সাসপেন্ড’ করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে স্পাইসজেট। তারা, Pakyong Airport-র ডিরেক্টরকে জানিয়ে দিয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবর থেকে পরবর্তী সিদ্ধান্ত না নেওয়া পর্যন্ত তাদের ‘অপারেশন’ বন্ধ থাকবে। আর, এর অর্থ, যত দিন নতুন কোন সংস্থা সেখান থেকে বিমান চালায় ততদিন সেখানে কোন বিমান থাকবে না। উল্লেখ্য, দেশের উচ্চতম বিমানবন্দরগুলি মধ্যে অন্যতম পাকইয়ং বিমানবন্দর।

উল্লেখ্য, এতদিন স্পাইস জেট সেখানে টার্বোপ্রপ বিমান দিয়ে পরিষেবা দিত। মূলত, UDAN-RCS নীতি মেনেই এতদিন সেখানে বিমান চালাত তারা। চলতি মাসের ১২ তারিখে তাদের বোম্বার্ডিয়ার ড্যাশ নামে একটি বিমান গোয়া থেকে আসার সময় হায়দ্রাবাদে জরুরি অবতরণ করে। কেবিনে ধোঁয়া দেখা দেওয়ার পরে তাদের ইঞ্জিন এবং অন্য জিনিসগুলি পরীক্ষা করে দেখার নির্দেশ দেয় ডিজিসিএ (Directorate General of Civil Aviation) । তারা নির্দেশ দেয়, এই ধরনের সমস্ত এয়ারক্রাফট ইঞ্জিনগুলি সাত দিনের মধ্যে পরীক্ষা করে দেখতে হবে ‘বাজেট ক্যারিয়ার’গুলিকে। যাতে কোন রকম দুর্ঘটনা না ঘটে সেই জন্য এই নির্দেশ দেওয়া হয়। ডিজিসিএ জানিয়েছে, সেদিন ওই বিমান ঠিকমত মাটিতে নামে। তারপরে যাত্রীদের নিরাপদে বার করা হয় ‘এমারজেন্সি একজিট’ দিয়ে। শুধুমাত্র একজন যাত্রী সামান্য আহত হন। এরপর ২৭ জুলাই DGCA একটি নির্দেশ দেয় স্পাইসজেটকে। তাদেরকে মোট বিমানের অর্ধেক চালানোর জন্য বলা হয়। আট সপ্তাহের জন্য ওই নির্দেশ দেওয়া হয়। গত মাসে, তার মেয়াদ চলতি মাসের ২৯ তারিখ পর্যন্ত করা হয়েছে। এই কারন দেখিয়ে এবার পাকইয়ং বিমানবন্দর যাতায়াত ক্ষেত্রে পরিষেবা বন্ধ করতে চাইছে SpiceJet ।

প্রসঙ্গত, পাকইয়ং বিমানবন্দর’ হল সিকিমের একটি গ্রীনফিল্ড বিমান বন্দর। ২০১৭ সালের মাঝা মাঝি সময়ে বিমানবন্দরটির নির্মাণ সম্পূর্ণ হয়। এটিই হয় সিকিমের প্রথম বিমানবন্দর। বিমানবন্দরটি নির্মাণের জন্য প্রথমে খরচ ধরা হয়ে ছিল ৩০৯ কোটি টাকা ।কিন্তু নির্মাণের সময় প্রকল্পে বাধা ও নানা সমস্যার জন্য খরচ বেড়ে হয় ৬০৫ কোটি টাকা ।তবে সিকিমের এই বিমানবন্দরের রানওয়ে ছোট হবার কারনে ৭০ আসনের ছোট এটিআর চলছিল কলকাতা-পাকইয়ং বা বাগডোগরা-পাকইয়ং রুটে।