পাকিস্তান থেকে এসেছে অঢেল টাকা! ভারতের একাধিক শহরে হামলার জন্য ছক কষছেন দাউদ ইব্রাহিম

ফের আরব সাগরের তটে দাউদের ডি কোম্পানির ছায়া। যা নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেছে এনআইএ (NIA) । ন্যাশনাল ইনভেস্টিগেশন এজেন্সির (NIA) চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে, দাউদ এবং ছোটা শাকিল নতুন করে দেশের একাধিক বড় শহরে সন্ত্রাসবাদী হামলার ছক কষছে। তালিকায় রয়েছে মুম্বই সহ একাধিক মেট্রো সিটি। এখানেই শেষ নয়, এই হামলায় মদতের জন্য হাওয়ালার মাধ্যমে ২৫ লাখ টাকা এসেছে। এনআইএর চার্জশিটের তথ্য অনুযায়ী, পাকিস্তান থেকে দুবাই হয়ে এই হাওয়ালার টাকা মুম্বইতে ঢুকেছে। এনআই-এর আরও দাবি, আপাতত পাকিস্তানের করাচিতে রয়েছেন দাউদ। ছোটা শাকিল, আরিফ আবু বকর শেখ ওরফে আরিফ ভাইজান, শাব্বির আবু বকর শেখ, মহম্মদ সেলিম কুরেশি ওরফে সেলিম ফ্রুট মিলে মুম্বই-সহ ভারতের বিভিন্ন শহরে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপের জন্য ‘অনুদান’ সংগ্রহ থেকে টাকা ছড়ানো শুরু করেছেন। বিশ্বজুড়ে সন্ত্রাস ছড়ানোর একটি মামলায় এনআইএ তাদের চার্জশিটে জানাচ্ছে, গত এপ্রিল মাসেই আরিফের প্রভাবে হাওয়ালার মাধ্যমে টাকা এসেছে মুম্বইয়ের পূর্ব মালাডে। বস্তুত, গত চার বছরে হাওয়ালার মাধ্যমে ভারতে ১২-১৩ কোটি টাকা পাঠিয়েছে দাউদের ডি কোম্পানি । লক্ষ্য সন্ত্রাসবাদী হামলার। এই হাওয়ালা মামলায় তাঁদের কাছে মোট ছ’জন সাক্ষী আছেন বলে দাবি করেছে এনআইএ। তাঁদের মধ্যে এক জন সাক্ষী সুরতের। নিরাপত্তার কারণে তাঁর পরিচয় গোপন রাখছেন গোয়েন্দারা।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৩ সালে মুম্বইয়ে ধারাবাহিক বিস্ফোরণে অভিযুক্ত দাউদের মাথার দাম গত অগস্টে ২৫ লক্ষ টাকা ধার্য করেছে এনআইএ। এর আগে ২০০৩ সালে দাউদের মাথার দাম ২৫ মিলিয়ন ডলার ধার্য করেছিল রাষ্ট্রপুঞ্জের নিরাপত্তা পরিষদ। ভারতীয় মুদ্রায় যার মূল্য প্রায় ২০৪ কোটি টাকা। গত ফেব্রুয়ারি মাসে দাউদ এবং তাঁর সঙ্গীদের বিরুদ্ধে নতুন করে মামলা দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে এনআইএ।