দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর অভিশপ্ত ট্র্যাকে চাকা গড়াল রেলের, হাতজোড় করে প্রণাম রেলমন্ত্রীর

শুক্রবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ ওডিশার বালেশ্বরের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লুপ লাইনে একটি মালগাড়িতে ধাক্কা দেয় ট্রেনটি। এরপর করমণ্ডলের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের এবং আহত প্রায় ১০০০ জন। তবে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা? তা এখনও স্পষ্ট নয়। কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত হচ্ছে।

এদিকে দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পর চাকা গড়াল সেই ‘অভিশপ্ত’ ট্র্যাকে। সেসময় সেস্থানে উপস্থিত ছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। তখনই রেলমন্ত্রীর চোখে যেন দেখা গেল যুদ্ধজয়ের কান্না। মুলত, মর্মান্তিক দুর্ঘটনার ৫১ ঘণ্টা পরে রবিবার মধ্যরাতে প্রথম ট্রেন চলল ওড়িশার বালাসোরের বাহানাগা রেল স্টেশনের সেই লাইনে। ভাইজাগ থেকে প্রথমে ডাউন লাইন দিয়ে ধীরগতিতে একটি মালগাড়ি অতিক্রম করানো হয়। সেইসময় ভারতীয় রেলের একাধিক কর্তার সঙ্গে লাইনের পাশেই দাঁড়িয়েছিলেন রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। ডাউন লাইন দিয়ে পণ্যবাহী ট্রেনটি যাওয়ার সময় চালকদের উদ্দেশে হাত নাড়েন তিনি। সেইসঙ্গে অভিশপ্ত ট্র্যাককে হাতজোড় করে প্রণাম করেন তিনি। আকাশের দিকে তাকিয়ে ঈশ্বরকেও ধন্যবাদ জানাতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।

বলাবাহুল্য, শনিবার সকাল থেকে ঠায় দুর্ঘটনাস্থলে রেলের প্রত্যেক কর্মীর সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যান । খোদ রেলমন্ত্রীর তত্ত্বাবধানে প্রায় ১ হাজার জন শ্রমিক যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ চালিয়ে যেতে থাকেন। তারপর রবিবার মধ্যরাতে ডাউন লাইনে মালগাড়ি চালিয়ে ট্রায়াল দেওয়া হয়। ওই মালগাড়ি যাওয়ার পরেই হাত নাড়তে দেখা যায় রেলমন্ত্রী। মালগাড়ি ট্রায়ালের পর সংবাদমাধ্যমকে উত্তর দিতে দিতে তিনি কেঁদেও ফেলেন।