আমার আমলে জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনা হয়েছিল, সিবিআই কিচ্ছু করতে পারেনি! ১২ বছর পর পর্দাফাঁস মমতার

শুক্রবার ওডিশার বালেশ্বরের কাছে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ দুর্ঘটনার কবলে পড়ে আপ করমণ্ডল এক্সপ্রেস। লুপ লাইনে একটি মালগাড়িতে ধাক্কা দেয় ট্রেনটি। এরপর করমণ্ডলের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায়। দুর্ঘটনায় এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মৃত্যু হয়েছে ২৭৫ জনের এবং আহত প্রায় ১০০০ জন। তবে ঠিক কী কারণে এই দুর্ঘটনা? তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ইতিমধ্যে সিবিআই তদন্তের সুপারিশ করেছে রেল বোর্ড।

এদিকে আজ সোমবার, ওডিশার বালেশ্বর থেকে দুর্ঘটনায় নিহতের কয়েকজনের দেহ রাজ্যে পৌঁছায়। তাদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করতে দ্বিতীয় হুগলি সেতুর টোলপ্লাজায় যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘সিবিআই তো অপরাধমূলক ঘটনার তদন্ত করে। এটা তো অ্যাক্সিডেন্ট, দুর্ঘটনা। এর জন্য তো রেলওয়ে সেফটি কমিটি রয়েছে। ওরা তাড়াতাড়ি বিষয়টার তদন্ত করবে।” এরপরে প্রাক্তন রেলমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআইয়ের সমালোচনায় বলেন, ”আমিও জ্ঞানেশ্বরী রেল দুর্ঘটনার তদন্তের দায়িত্বও সিবিআই-কে দিয়েছিলাম। ১২ বছর কেটে গিয়েছে নো রেজাল্ট। সাঁইথিয়া দুর্ঘটনার তদন্তভারও সিবিআইকে দিয়েছিলাম। কিছুই হয়নি।”

যদিও আমি দুর্গতদের সাহায্য করতে বেশি আগ্রহী। পরিবারগুলোকে বাঁচাতে চাই। তাদের শীঘ্র স্বাভাবিক জীবনে ফেরাতে সাহায্য চাই। এখনও কত মৃতদেহ শনাক্তই হয়নি। ১৬০ টি লাশ ওখানে পড়ে রয়েছে। কত মানুষ আহত। তাদের আগে সুস্থ করে তোলাটাই অগ্রাধিকার।”