ফের শিরোনামে চীন, করোনার উৎপত্তিস্থল নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেশ নতুন গবেষণাপত্রে

182

করোনার উৎপত্তিস্থল খুঁজতে গিয়ে প্রায় ২ বছর ধরে ঘুম উড়ে গিয়েছে গবেষকেদের। এরই মাঝে সামান্য আশার আলো দেখালো এডওয়ার্ড হোমস, অ্যান্ড্রু রামবাট সহ ১৯ জন গবেষক। তাদের প্রাপ্ত বিভিন্ন উৎপত্তি পর্যালোচনা করে মহামারিটির উৎস হিসেবে প্রাণীদেহকেই চিহ্নিত করেছেন। দাবি করেছেন, পশুর শরীর থেকেই মানুষের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছে।

বুধবার গবেষণাপত্রটি একটি জার্নালে প্রকাশের জন্যে জমা দেয়ার আগে গবেষকদের মধ্যে একজন জানান, এতে সার্স-কোভিড-২ এর জেনেটিক স্বাক্ষর, প্রারম্ভিক মহামারি ও উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজির গবেষণার বিশদ ব্যখ্যা দেওয়া হয়েছে। মূলত, কোভিডের উদ্ভব বিষয়ে দুটি পরস্পরবিরোধী ধারণা রয়েছে। এর একটি হলো, পরীক্ষাগার থেকে কোভিড ১৯-এ আক্রান্ত পশু বা পাখির পালিয়ে যাওয়া। নোবেলপুরস্কার বিজয়ী বিজ্ঞানী পিটার ডোহার্টি ও ওয়েলকাম ট্রাস্টের পরিচালক জেরেমি ফ্যারার বলেছেন, ল্যাবরেটরিতে সার্স-কোভ-২ ভাইরাসের উৎপত্তির কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে এ নিয়ে সন্দেহটা দেখা দিয়েছিল এই কারণে যে, ওই শহরটিতে জৈব নিরাপত্তাবিষয়ক বিভিন্ন গবেষণাগার রয়েছে, যেগুলো ইবোলাসহ নানা মারাত্মক রোগের উৎপত্তি নিয়ে গবেষণা করে। তারা আরও জানিয়েছেন, গবেষণাগারে দুর্ঘটনা বিষয়ক তত্ত্বটি পুরোপুরি বাদ দেয়া না গেলেও উহানে বুনোপ্রাণীর বিভিন্ন বাজার থেকে করোনা সংক্রমণের সম্ভাবনাই সবচেয়ে বেশি। কারণ সেখানে বুনো প্রাণী ও মানব শরীরের সরাসরি সংস্পর্শ ঘটে।

তবে গবেষণাপত্রে সবশেষে গবেষকরা লিখেছেন, ভাইরাসটির উৎস সম্পর্কে আমাদের বোঝা ও অনুসন্ধানের ব্যর্থতা ভবিষ্যতে বিশ্বকে আরো মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দেবে। যেমন এখনও আমরা করোনাভাইরাসের উৎপত্তি ও বিকাশ নিয়ে ভুলভাবে অগ্রসর হচ্ছি। তাদের মতে, উহান চীনের বৃহত্তম পশুবাজার। এটি একটি পর্যটন কেন্দ্রও। প্রতিবছর প্রচুর মানুষ এখানে এসে থাকে। ফলে তাদের মধ্যে অনেকে বুনো বা সামুদ্রিক প্রাণিখাদ্যের ব্যাপারে আগ্রহী হয়। সুতরাং এখান থেকে যে কোনো অজ্ঞাত রোগ ছড়িয়ে পড়াটা অসম্ভব কোনো বিষয় নয়।