ঈশ্বরের অদ্ভুত মহিমা, তুরস্কের ধ্বংসস্তূপের নীচে ‘খিলখিলিয়ে হাসছে’ ২ মাসের নবজাতক শিশু

তুরস্কে ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর অন্তত ১০০টি আফটার শক হয়েছে। এগুলোর মাত্রা ৪ দশমিক ০ বা বেশি ছিল। যারফলে তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়েছে ৬হাজারের বেশি বহুতল। মৃত্যুর সংখ্যা পৌঁছেছে ২৮ হাজারের ঘরে। আর এই ধ্বংস ও হতাশার মাঝেও বেঁচে থাকার ‘অলৌকিক কাহিনী’ অন্ধাকারের মাঝেও কিছুটা আশার আলো দেখিয়ে তুরস্কের হাতায়ে ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দুই মাসের এক শিশুকে। ১২৮ ঘণ্টা ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকার পরও শিশুটিকে জীবিত উদ্ধার করে উদ্ধারকারী দলের সদস্যরা।

হিমশীতল আবহাওয়ার কারণে কিছুটা ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকার্য। হাজার হাজার উদ্ধারকর্মী জীবন বাজি রেখে প্রাণ বাঁচাতে তাদের লড়াই জারি রেখেছেন। এখনও সাহায্যের প্রয়োজনে মরিয়া লক্ষ লক্ষ মানুষ। তুর্কি মিডিয়া জানিয়েছে, ভূমিকম্পের পাঁচ দিন পর যাদের উদ্ধার করা হয়েছে তাদের মধ্যে একজন দুই বছর বয়সী এক বালিকা, ছয় মাসের এক গর্ভবতী মহিলা এবং ৭০ বছর বয়সী এক মহিলাও রয়েছেন।

এদিকে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর সদস্যরাও বিধ্বস্ত তুরস্কের পাশে দাঁড়াতে সেদেশে ছুটে গিয়েছেন। ভারত থেকে আট ঘন্টার বিমান যাত্রার পর সেনাবাহিনীর ৬০ প্যারা ফিল্ড হাসপাতালের ইউনিট দুটি পৃথক ব্যাচে গত মঙ্গলবার তুরস্কে নেমেছিল। বিশাল ওই প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জেরে হাজার হাজার মানুষ আহত হয়েছিলেন। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওই দলটি তুরস্কের ইস্কেন্দারুনের উদ্দেশ্যে যায়। সেনাবাহিনীর ওই দলের একজন অফিসার বলেন, “তিন দিন ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে থাকা পাঁচ বছরের একটি মেয়েকে আমরা চিকিৎসা দিয়েছি। তারপরে ৪৮ বছর বয়সী একজন লোক ছিল যার পা ধ্বংসাবশেষের নীচে পিষ্ট হয়েছিল। আমাদের তার পা কেটে ফেলতে হয়েছিল।”