গলায়-গলায় ভাব আর নেই, ফাটল ধরেছে চীন-পাকিস্তান সম্পর্কে

বিপদের সময়তেই বন্ধুত্বের সম্পর্কে ধরল ফাটল। সম্প্রতি বেশ কিছু ঘটনাবলী এসেছে সামনে, যার থেকে প্রমাণিত বেজিং এর সঙ্গে ইসলামাবাদের গভীর বন্ধুত্বে ধরেছে চিড়। পাকিস্তানের জনগণের মধ্যে চীন বিরোধী মনোভাব ক্রমশ বাড়ছে। এমনকি সম্প্রতি ইসলাম অবমাননার অভিযোগে এক চীনা নাগরিককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

চীনা নাগরিকদের পরিচালিত বেশ কিছু ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে করাচি পুলিশ। দুই দেশের মধ্যে ব্যবসায়িক সম্পর্ক খারাপ হয়েছে এর নেপথ্যের কারণ হিসেবে পুলিশ জানিয়েছে, চীনা নাগরিকদের উপর সন্ত্রাসবাদী হামলা আটকাতেই এই পদক্ষেপ। পাকিস্তানে বসবাসকারী চীনের নাগরিকদের ওপর সন্ত্রাসবাদীর হামলার ঘটনা ক্রমশ নাকি বেড়ে চলেছে।

চীন পাকিস্তানে তাদের নাগরিকদের সতর্কতা অবলম্বনে পরামর্শ দিয়েছে। তারপর ইসলামাবাদে চীনা দূতাবাসের কনস্যুলার অফিস যা বন্ধ করে দেয় বেজিং। আর এইসব ঘটনা থেকেই প্রমাণ মিলেছে, দুই দেশের গলায় গলায় ভাব আর আগের মত নেই। সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা গিয়েছে, বেজিং থেকে বিপুল অংকের ঋণ নিয়েছে ইসলামাবাদ। সেই ঋণের পরিষদের সময়সীমা বৃদ্ধির জন্য চীনকে পরোক্ষভাবে চাপও দিচ্ছে পাকিস্তান সরকার। পাশাপাশি চীনের প্রকৃত উদ্দেশ্য নিয়ে সন্ধিয়ান পাকিস্তানের মানুষ এর একটা বড় অংশ। তারা পাকিস্তানের আর্থিক ক্ষেত্রে চীনের ক্রমবর্ধমান প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে।

বর্তমানে পাকিস্তানে দেখা দিয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। যার কারণে আর্থিক সাম্রাজ্য ভেঙে পড়েছে সেই দেশে। বর্তমানে পাকিস্তানের আশঙ্কা বাণিজ্যিক প্রকল্প, খনিজ সম্পদের দখল এবং বিপুল আর্থিক বিনিয়োগের মাধ্যমে দেশের আর্থিক অবস্থা শক্তিশালী করার পরিবর্তে জমি দখলের চেষ্টা করতে চাইছে চীন।