নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতায় আজও পথে নামছেন মমতা

131

নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের বিরোধিতার কর্মসূচিতে পথে নেমেছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । মূলত, এসপ্তাহে পরপর তিনদিন সিএবি’র প্রতিবাদে  মিছিল করবে তৃণমূল । যার মধ্যে একটি মিছিল সম্পন্ন হয়েছে । অর্থাৎ গতকাল উত্তর কলকাতায় বি আর আম্বেদকর মূর্তির পাদদেশে থেকে জোড়াসাঁকো পর্যন্ত মিছিল করেন মুখ্যমন্ত্রী। আর আজ যাদবপুর ৮ বি বাসস্ট্যান্ড থেকে একই রকম প্রতিবাদ মিছিল হবে যদুবাবুর বাজার পর্যন্ত। বুধবার অর্থাৎ আগামীকাল হাওড়া ময়দান থেকে ডোরিনা ক্রসিং। তবে এসব কর্মসূচীর আগে রবিবার থেকেই রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলার সদর শহর এবং আগামী সোমবার প্রতিটি ব্লকে সব ধর্ম, বর্ণ ও সম্প্রদায়ের লোকেদের নিয়ে প্রতিবাদ মিছিল করার নির্দেশ দেন মমতা।


প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘‘কী করবে, আমার সরকার ফেলে দেবে? আমাকেও ফেলে দাও। এখানে এনআরসি বা সিএবি চালু করতে হলে আমার মৃতদেহের উপর দিয়ে করতে হবে।’’ তিনিই যে প্রথম নোটবন্দি এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেন, তা জানিয়ে মমতার বক্তব্য, ‘‘আস্তে আস্তে আরও সকলে বলবে।’’ মিছিলের গোড়ায় যেখানে মমতা ছিলেন, তার চারপাশে ছিল কঠোর নিরাপত্তাবলয়। সেখানে দেখা যায়নি কোনও নেতা-মন্ত্রীকে। বরং তাঁর পাশে ছিলেন বাংলার কয়েক জন ক্রীড়াবিদ। মিছিলে জনসমাগম সম্পর্কে মমতার মন্তব্য, ‘‘লক্ষ লক্ষ মানুষের মিছিল হয়েছে। শেষ মাথা এখনও দেখা যাচ্ছে না।’’ এতেই শেষ নয়  তিনি আরও বলেন কেন্দ্র আমার কাছে জানতে চাইছে, সিআইএসএফ, সিআরপিএফ, বিএসএফ চাই? আমি বলেছি, আমার পুলিশই যথেষ্ট। কাউকে চাই না। মানুষই পুলিশের সঙ্গে সামলাতে পারবে। গণতান্ত্রিক পথে আন্দোলন হবে।’’ বিজেপিকে তাঁর পাল্টা হুঁশিয়ারি, ‘‘নিজের বেলায় সাতখুন মাফ! আর যত কিছু বাংলার উপর হামলা! দিল্লি আগে সামলা, পরে দেখিস বাংলা। বাংলা আমরা সামলে নেব।’’