পুজোয় ‘মদ’ বিক্রিতে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার আসামের কাছে ‘হার মানল’ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা!

কলকাতার মতো পুজোর দিনগুলিতে আসামের একাধিক জেলাতেও বৃষ্টি হয়েছে। মহালয়া থেকেই বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হয়েছে গুয়াহাটিতে। গত দু’বছর করোনার কারণে পুজোর আনন্দে বাধা পড়েছিল। কিন্তু, এ বছর উৎসবের আনন্দ চেটেপুটে ভাগ করে নিয়েছেন অসমের বাঙালিরাও। ফলে ষষ্ঠী থেকে দশমী বৃষ্টি হওয়া সত্ত্বেও ঠাকুর দেখার প্ল্যানিংয়ে পাশাপাশি বিন্দুমাত্র ছেদ পড়েনি সুরা পানের বিশেষ মুহূর্তগুলিতে। অর্থাৎ দুর্গাপুজোয় দেদার সুরাপান হয়েছে আসামে। পুজোর কয়েকদিনে ১৬ কোটি টাকারও বেশি মদ বিক্রি হয়েছে গুয়াহাটিতে। সরকারি হিসেব বলছে, পঞ্চমী থেকে দশমী পর্যন্ত কেবলমাত্র কামরূপ মেট্রোপলিটন জেলা থেকেই ১৬ কোটি ৮০ লাখ টাকার মদ বিক্রি হয়েছে। আসামের আবগারি দফতরের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক জানিয়েছেন, গত ১ অক্টোবর অর্থাৎ ষষ্ঠীর দিন বিক্রি হয়েছে ৬ কোটি ৭৫ লাখ টাকার মদ। অষ্টমীর দিন অর্থাৎ ৩ অক্টোবর বিক্রি হয়েছে ৪ কোটি ৮৯ লাখ টাকার মদ। ৪ অক্টোবর নবমীর দিন বিক্রি হয়েছে ৫ কোটি ২৫ লাখ টাকার মদ। সব মিলিয়ে পুজোর দিনগুলিতে রেকর্ড টাকার মদ বিক্রিতে লাভবান হয়েছে হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার।

অন্যদিকে, কলকাতার উত্তর ভাগে নবমীর দিন মোট খোলা ছিল ১৬৮টি মদের দোকান। কলকাতায় এদিন মদ বিক্রি হয়েছে ২ কোটি ৭৪ লাখ ৬১ হাজার ৭২০ টাকার। বিধাননগরে এই মদ বিক্রির পরিমাণ ২ কোটি ৯৮ লাখ ১১ হাজার ৪৪২ টাকার। বিধাননগরে অবশ্য কলকাতার তুলনায় নবমীতে খোলা থাকা মদের দোকানের সংখ্যাও ছিল বেশি। নবমীর দিনে বিধাননগর আবগারি জেলায় খোলা ছিল ১৭১ টি মদের দোকান।