মহমেডানেও এবার কাত লাল-হলুদ, খেতাবকে বিদায় জানাল ইস্টবেঙ্গল

জেতা ম্যাচ হেরে বসল ইস্টবেঙ্গল।

ইস্টবেঙ্গল – ১ (আকোস্টা)

মহমেডান এফসি – ২ (আদজাহ – ২)

পিয়ারলেস ম্যাচের পর খেতাব তো দূর, লিগের বাকি ম্যাচগুলিতে দলের থেকে ভাল পারফর্মেন্স আশা করাই হয়ত ছেড়ে দিয়েছেন লাল-হলুদ সমর্থকেরা। তাই তো ৬৭ হাজারি যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন একেবারে শুনশান। মনে হবে যেন সন্তোষ ট্রফির ম্যাচ চলছে। তথাকথিত মিনি ডার্বিতে দূর্বল মহমেডান এফসির বিরুদ্ধে ম্যাচ তো দূর, স্নায়ুটুকু ধরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। যার ফল, অন্তিম লগ্নে দুই গোল করে হারা ম্যাচ জিতে নিল মহমেডান।

মোটামুটি আন্দাজ দুহাজার মত দর্শক ছিলেন মাঠে। তাদের সামনে ভালো খেলার অঙ্গীকার নিয়ে শুরু করেছিল দুই দলই। ইস্টবেঙ্গল দলে দুটি নতুন মুখ ছিল আজকের ম্যাচে। চুলোভার জায়গায় ফানাই এবং বিদ্যাসাগর সিংয়ের জায়গায় ইয়ামিকে নিয়ে এসেছিল ইস্টবেঙ্গল টিম ম্যানেজমেন্ট। ম্যাচের শুরু থেকেই দুদল আক্রমণে যাচ্ছিল, ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্সে জনি আকোস্টার উপস্থিতি থাকলেও এমেকা মাঝেমধ্যে বিব্রত করেছেন তাকে। তবে ১২ মিনিটে এগিয়ে যায় ইস্টবেঙ্গল। কর্নার থেকে লালরিনডিকা রালতের শট মহমেডান গোলরক্ষক অরুপ বাঁচালেও সুযোগসন্ধানী আকোস্টা ফাঁকা জালে বলটিকে ঠেলে দিয়ে দলকে এগিয়ে দেন। গোল করার পর দুদলই সমানে সমানে খেলতে থাকে। তবে পার্থক্য হয়ে দাঁড়ায় আক্রমণ। একদিকে যেমন ইস্টবেঙ্গলের হতভাগ্য আক্রমণভাগ, অন্যদিকে বিশ্বকাপার সমৃদ্ধ্ব ডিফেন্সের ভুল বোঝাবুঝিতে মহমেডানের হঠাত পাওয়া সুযোগ। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের গোলরক্ষক রক্ষিত ডাগার বাঁচান তার দলকে। প্রথমার্ধ অবধি এগিয়ে থাকে ইস্টবেঙ্গল।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে মহমেডান দুর্দান্ত আক্রমণ করে। এমেকা এবং দীপেন্দু বারবার ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে ব্যতিব্যস্ত করে তুলেছিলেন। কয়েকবার পরিত্রাতা হিসেবে রুখে দাঁড়ান ডাগার। ৬১ মিনিটে মহমেডানের প্রসেনজিতের শট বারে লাগে। মাঝেমধ্যে ইস্টবেঙ্গল আক্রমণে গেলেও জবি জাস্টিনের জোরালো শট বাদে সেরকম কোনও বিপদজনক মুহুর্ত আসেনি। একের পর এক চাপ তৈরি করে মহমেডান। আর তার পুরষ্কার পায় তারা ৮৭ মিনিটে। প্রথমবারের জন্য ইস্টবেঙ্গলের হয়ে নামা ফানাইয়ের ধীরগতির ব্যাক পাস আকোস্টা না পেলে মহমেডানের স্ট্রাইকার আদজাহ সেটি কেড়ে নিয়ে মেহতাব সিং এবং রক্ষিত ডাগারকে পরাস্ত করে সমতায় ফিরিয়ে আনেন দলকে। এরপর ৬ মিনিট অতিরিক্ত সময় দেওয়া হয়। ইস্টবেঙ্গল বল ধরে চেষ্টা করছিল গোল শোধের, কিন্তু অতিরিক্ত সময়েম ইস্টবেঙ্গলের মাঝমাঠ থেকে একটি মিসপাস নিয়ে গোল করে মহমেডানকে জিতিয়ে দেন পরিবর্ত হিসেবে আসা আদজাহ। জেতা ম্যাচ হেরে বসল ইস্টবেঙ্গল।