যাকে আমি বুক দেখাই, তাঁকে আমি পিঠ দেখাই না, শোভনের দিকে তাকিয়ে সুর মেলালেন বৈশাখী

চলতি বছরের ৬ এপ্রিল মনোজিতের সঙ্গে আইনত বৈবাহিক সম্পর্কে ইতি টেনেছিলেন বৈশাখী। আর এই লড়াইয়ে প্রথম থেকেই বৈশাখীর অন্যতম শক্তি ছিলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। মূলত, বৈশাখীর বিবাহ বিচ্ছেদ পর শোভন বাবু আদালতের বাইরে এসে প্রথম প্রতিক্রিয়া দিয়ে জানিয়েছিলেন আমার বৈশাখীর সঙ্গে যতদিন ধরে পরিচয় আমি ওর লড়াইটা দেখেছি। সেখান থেকে আজ একটা পর্যায়ে মুক্তির স্বাদ পেয়েছে। আমিও সেই মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছি। আমি জানি বহু চক্রান্ত, অসত্য পরিবেশন করা হয়েছে। আজও দেখলাম, অন্যান্য সময়ও দেখেছি। কিন্তু একটা কথা আমি আবারও বলব, আমি যেখানে বুক দেখাই সেখানে পিঠ দেখাই না। সমস্ত বিষয়ে দায়িত্ব নিতে, দায়িত্বশীল ভূমিকা নিতে আমি কোনওদিন পিছু পা হইনি। অসত্যের কাছে, বিভিন্ন জায়গায় দ্বিচারিতার কাছে আমি নতি স্বীকার করি না। বিশ্বাসযোগ্যতা যাদের নেই, তাদের সঙ্গে আমি কখনওই আপোস করি না।” সেই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় দৌলতে আবারও ভাইরাল রয়েছে। যেখানে দুজনের মুখে শুনতে পাওয়া যাচ্ছে যাকে আমরা বুক দেখাই, তাঁকে আমরা পিঠ দেখাই না। এরপরেই সেই ভিডিও জুড়ে কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে, কেউ বলছেন আমিও পুরো শোভন দার মতো। কিন্তু আমার জীবনে তো বৈশাখী এলো না কেউ। আবার কেউ লিখেছেন আমার কাঁদা মনে একটা সাদা প্রশ্ন আছে…. তাহলে রত্না চট্টোপাধ্যায় কে কি দেখিয়েছিলো। তবে বিনায়ক চন্দ্র নামে একজন লিখেছেন, নিজের প্রথম স্ত্রী তো বুকে আগলে ভালোবেসেছে, তাকে পিঠ দেখিয়ে চলে গেলেন ঝড়ের (বৈশাখী)কাছে । তাহলে ব‌উ কে পিঠ দেখানো হলো তো! আবার যে দলে বুক দেখিয়ে মেয়রও হয়েছিলেন তাকে পিঠ দেখিয়ে আবার অন্য দলে চলে গেলেন। আবার সেই দলকে পিঠ দেখিয়ে বুক দেখাচ্ছে পুরোনো দল কে। আজব কাহিনী মাইরি। এতে বুক পিঠ দেখানো মডেল রাও ঘাবড়ে যাবে।

উল্লেখ্য, গত বছর আলিপুর আদালতে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা দায়ের করে বৈশাখী ও মনোজিত । এরপর থেকে শোভন ও বৈশাখীর সম্পর্ক নিয়ে বিস্তর জল ঘোলা হলেও  দুজনে বৈশাখীর সন্তানকে নিয়ে কাশ্মীর ঘুরে আসেন । সেখানে অনেক ছবিও নিজেদের ফেসবুক প্রোফাইলে আপলোড করেন । যা নিয়ে বাহবা কুড়িয়েছেন দু’জনেই । পাশাপাশি বৈশাখীও বিচ্ছেদের দিন দাবি করেন তাঁরা উভয়েই যৌথভাবে বিবাহ বিচ্ছেদের জন্য আবেদন জানিয়েছিলেন । শুনানি শেষে তার সঙ্গে কথা বলে তাঁদের বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছেন । পাশাপাশি তাঁদের কন্যা সন্তানের জন্য আদালত মাসিক অর্থের ব্যবস্থা রেখেছেন । তবে বৈশাখী দাবি করেন তার আর্থিক সঙ্গতি রয়েছে । তিনি সন্তান প্রতিপালন করতে সক্ষম । তবু আদালত বিষয়টিকে এর মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করেছেন বলেই বৈশাখী জানান ।