করোনার লাগাম টানতে নয়া গাইডলাইন জারি রাজ্যের, না মানলেই নেওয়া হবে কড়া ব্যবস্থা

30

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ এ সর্বাধিক ভয়ঙ্কর দিনের সাক্ষী থাকল দেশ। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৯৫ জন। অন্যদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলায় সংক্রামিতের সংখ্যা ৭ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে । আর এই পরিস্থিতিতে নতুন নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দপ্তর। রাজ্যের নির্দেশ, মানতেই হবে এই নতুন গাইডলাইন। এবং কোনও রকম অসতর্কতা এবং বিধি লঙ্ঘন চোখে পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। মূলত, নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক, তেমনই সরকারি দফতরে অর্ধেক কর্মী নিয়ে কাজ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। বেসরকারি সংস্থাগুলিকে বলা হয়েছে, যতটা সম্ভব কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজ করার অনুমতি দিতে।

একনজরে দেখে নেওয়া যাক, করোনার লাগাম টানতে রাজ্য সরকারের নতুন গাইডলাইন কি কি বলা হয়েছে।

১. ঘর থেকে বেরলেই মাস্ক মাস্ট। বাস-ট্রেন বা গাড়ি কিংবা নিজের গাড়িতে, যে ভাবেই যাতায়াত করা হোক না কেন, সব ক্ষেত্রেই মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।

২. সরকারি-বেসরকারি হাসপাতাল, শিল্প-কারখানা এবং সব বাণিজ্যিক ভবনগুলির সপ্তাহে এক বার অন্তত সম্পূর্ণ ভাবে স্যানিটাইজেশন করতে হবে।

৩. গতবছরের মত এবছরেও চেম্বার অব কমার্স/ট্রেড অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় যে ভাবে বাজারগুলোকে জীবাণুমুক্তকরণ করতে হবে।

৪. বাজার, সাপ্তাহিক বাজার, জীবাণুমক্তকরণ এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক।

৫. দোকান, বাজার, কারখানা এবং বাণিজ্যিক দফতরগুলিতে ভিড়ের যাতে না জমে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।

৬. সরকারি দফতরে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে ৫০ শতাংশ কর্মী নিয়ে কাজ করতে হবে।

৭. বেসরকারি সংস্থাগুলিকে আবারও ওয়ার্ক ফ্রম হোমের ব্যবস্থা করতে হবে। কিংবা একদিন ছাড়া ছাড়া বা সময়সূচি ধরে, শিফ্ট ভাগ করে বাড়ি থেকে কাজ করাতে হবে।

৮. অফিসে বসে কাজ করার সময়ও কর্মীদের মাস্ক পরে থাকা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। অর্থাৎ সব ক্ষেত্রেই মাস্ক মাস্ট।

৯. শপিং মল, মাল্টিপ্লেক্স, থিয়েটার, রেস্তরাঁর মতো জায়গায় প্রবেশ এবং বাহির পথে গ্রাহকদের থার্মাল স্ক্যানিং করা, হাত স্যানিটাইজ করা বাধ্যতামূলক।

১০. স্টেডিয়াম এবং সুইমিং পুলগুলিকে আগের নির্দেশ মতোই সতর্কতা মেনে চলতে হবে।