১৯৮৮ সালে ২৭ ডিসেম্বর কী ঘটেছিল? যার জন্য কয়েদি নম্বর ২৪১৩৮৩-এ পরিচয় পেল সিধু

সময়টা খারাপ যাচ্ছে নভজ্যোত সিং সিধুর। প্রথমে কপিল শর্মা শো থেকে বাদ। এরপর পঞ্জাবে কংগ্রেসের শোচনীয় হার। আর এবার পরিস্থিতির সাথে পরিচয় বদলের ঘটনা। প্রায় তিন দশক পুরনো পথ-হিংসা মামলায় জেল হল কংগ্রেস নেতা নভজ্যোত সিংহ সিধুর, সাজা শুনিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এখন তাঁর পরিচয় পঞ্জাবের পাটিয়ালা জেলের কয়েদি নম্বর ২৪১৩৮৩।

উল্লেখ্য, ২৭ ডিসেম্বর ১৯৮৮ তারিখে। সন্ধ্যায় বন্ধু রুপিন্দর সিং সান্ধুর সঙ্গে পাতিয়ালার শেরওয়ালে গেট বাজারে গিয়েছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। এই জায়গাটি তাঁর বাড়ি থেকে মাত্র ১.৫ কিমি দূরে। সিধু তখন ক্রিকেটার। তাঁর আন্তর্জাতিক কেরিয়ার শুরু হওয়ার মাত্র এক বছর পরেই ঘটে এই ঘটনা। পার্কিং নিয়ে স্থানীয় বাজারে ৬৫ বছর বয়সী গুরনাম সিং-এর সঙ্গে তাঁর বাকবিতণ্ডা হয়, যা গড়ায় হাতাহাতিতে। লড়াইয়ে আহত গুরনাম সিংকে হাসপাতালে ভর্তি করা হলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়। এরপর অনিচ্ছাকৃত হত্যা মামলাও দায়ের হয়েছিল সিধুর বিরুদ্ধে, পরে যদিও, তা থেকে মুক্তি পেয়ে যান সিধু। এত দিন পর সেই মামলাতেই সিধুকে এক বছরের সাজা শোনাল শীর্ষ আদালত। এই রায় ঘোষণার পরেই আত্মসমর্পণ করেন সিধু। এরপর থেকেই তাঁর ঠিকানা হয়েছে পাটিয়ালা জেলের সাত নম্বর ব্যারাক। কিন্তু জানা গিয়েছে, জেলযাত্রার প্রথম দিন কিছুই খাননি সিধু, তাঁকে শুতে হচ্ছে সিমেন্টের চাতালে গদি পেতে। এটাই তাঁর বিছানা। সিধুর সঙ্গে আছেন তাঁর অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ শিরোমণি অকালি দলের নেতা বিক্রম সিংহ মাজিথিয়া। একটি মাদক মামলায় তিনিও বন্দি পাটিয়ালা জেলে।

এক সময় ভারতীয় দলের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সদস্য ছিলেন নভজ্যোত সিং সিধু। ওপেনিং ব্যাটার সিধু এক সময় ছিলেন এমন খেলোয়াড় যার টেস্ট এবং এক দিনের ক্রিকেটে ব্যাটিং গড় ছিল ৪০-এর উপর। দেশের ১৬৬ তম টেস্ট প্লেয়ার ছিলেন তিনি। আর এখন তাঁর পরিচয় পঞ্জাবের পাটিয়ালা জেলের কয়েদি নম্বর ২৪১৩৮৩। জানা গিয়েছে, জেলে তাঁকে নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে। তার জন্য দিনে সর্বোচ্চ ৯০ টাকা আয় করতে পারবেন সিধু। সকাল ৯ টা থেকে বিকেল সাড়ে ৫ টা পর্যন্ত করতে হবে কাজ। নিয়ম অনুযায়ী, প্রতিদিন ভোর সাড়ে পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠতে হবে তাঁকে।