পিকের ব্যর্থতা! বিজেপির লাভ, রবিবাসরীয় দুপুরে তৃনমূলে ঘটতে চলেছে বড়সড় অঘটন?

49

প্রথমেই বলি রাখি অসমর্থিত সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে খুবই তাড়াতাড়ি বিজেপিতে আসছেন শুভেন্দু অধিকারী? রবিবাসরীয় দুপুরে তৃনমূলে সেই অঘটন ঘটতে চলেছে বলে খবর। উল্লেখ্য, মঙ্গলবার প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শেই বৈঠকে বসেন শুভেন্দু ও অভিষেক সঙ্গে ছিলেন পিকে, সেখানে সুষ্ঠ কথাবার্তাও হয় । পাশাপাশি দিদির সঙ্গেও কথা হয়েছিল শিশির বাবুর মেজ ছেলের। এরপর বৈঠকের সামান্য কিছু অংশ সংবাদমাধ্যমের কাছে তুলে ধরেছিলেন সৌগত রায়। পুরো কাজটাই হয়েছিল ভোট কৌশলী প্রশান্ত কিশোরের পরামর্শে । তিনিই নাকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে অভিষেকের সঙ্গে কথা বলে সৌগতকে সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খুলতে বলেছিলেন।

তবে গতকাল বুধবার, একান্ত ক্ষোভের সঙ্গে শুভেন্দু জানান, ‘একসঙ্গে কাজ করা মুশকিল, মাফ করবেন,’। ‘আমার বক্তব্যের এখনও সমাধান করা হয়নি। সমাধান না করেই আমার ওপর সব চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ৬ ডিসেম্বর আমার সাংবাদিক সম্মেলন করার কথা ছিল। সাংবাদিক সম্মেলন করে সব জানানোর কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই সংবাদমাধ্যমকে সব জানিয়ে দিলেন। ফলে একসাথে কাজ করা মুশকিল, মাফ করবেন,’ এদিকে, শুভেন্দুর বার্তা প্রসঙ্গে সৌগত বাবু জানিয়ে দেন, ‘কালকের বৈঠকে যা হয়েছিল, সত্যনিষ্ঠার সঙ্গে জানিয়েছিলাম। কালই বলেছিলাম শুভেন্দু পরে বলবে। যদি শুভেন্দু মন পরিবর্তন করে থাকেন, তাহলে সেটা তাঁর সিদ্ধান্ত নেওয়ার ব্যাপার।

আরও পড়ুনঃ  অবশেষে শুভেন্দুকে নিয়ে মুখ খুললেন মুকুল রায়

আর পরিস্থিতির ওপর নজর রেখে দাদার অনুগামীদের অভিযোগ, দায়িত্ব পালন করলেও নেত্রীর সেভাবে কাছে যাওয়া তো দূর অস্ত, বিভেদ বেড়েছে । সিঙ্গুর-নন্দীগ্রাম থেকে ২০১১ পরিবর্তন- কোনও কিছুতে ভূমিকা না থাকলেও রকেট গতিতে উত্থান হয়েছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের । মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত থেকে দলের রাশ যতই আলগা হয়েছে, ততই প্রভাবশালী হয়েছেন অভিষেক । তাঁর হাত ধরে তৃণমূলে প্রবেশ হয়েছে প্রশান্ত কিশোরের । তারপরই দলে বেড়েছে বিভেদ । এদিকে রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে, তৃণমূলের জন্মলগ্ন থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেভাবে দল পরিচালনা করেছেন, তার অনেকটা ‘পরিবর্তন’ ঘটেছে । এই ‘পরিবর্তন’ মানিয়ে নিতে পারেননি বা পারছেন না মুকুল-শোভন-মিহির-শীলভদ্র থেকে শুভেন্দু, কেউই । কারণ, এই পরিবর্তনে অন্যতম কান্ডারি প্রশান্ত কিশোর । রূপকার নিঃসন্দেহে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যে অভিষেকের উপস্থিতি- তৃণমূলে প্রবেশ অনেক নেতার কাছেই অস্বস্তির কারণ। তবে উল্লেখ্যযোগ্য বিষয়, এই বিক্ষুব্ধ তৃণমূল গোষ্ঠী ইতিমধ্যে ১৫ হাজারের বেশি শুভেন্দু মাস্ক তৈরি করে ফেলেছে । তাঁরা নাকি এভাবেই দাদাকে স্বাগত জানাতে তৈরি হচ্ছেন । এখন দেখার এই অশনিসংকেত কতটা বাস্তবের রুপ নয়।