পিকে তার ছাত্রীকে বললেন মৌনব্রত পালন করতে, শুনেই হতভম্ব নেতারা

46

একসময় তার দলেও ছিল চাণক্য , কিন্তু এখন তিনি বিজেপিতে তাই একুশের ভোটের আগে চাণক্যর যমজ ভাইকে খুজে নিয়ে এসেছেন তৃনমূল সুপ্রিমো। তিনি হলেন প্রশান্ত কিশোর ( পিকে) । অর্থাৎ তার বুদ্ধিমত্ততার মাধমেই একুশের নির্বাচন বাজিমাত করতে চান মমতা । কিন্তু পরীক্ষার আগে টেস্ট পেপারের মত পিকে’কে নিয়ে এলেও তিনি যে মমতার শিক্ষক হয়ে উঠেছেন সম্প্রতি, তা দলের অনেকেই টের পেয়েছেন। অর্থাৎ দলের প্রতিটি কর্মীর কাছে যিনি এতদিন ছিলেন শিক্ষিকা তিনিই আজ পিকের কাছে হলেন ছাত্রী। আর প্রথম দিনেই শিক্ষক পিকে মমতাকে ২০২১ পর্যন্ত একদম মৌনব্রত পালন লাগাবার নিদান দিলেন ।

নবান্নে প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে । সামনে সাংসদ অভিষেক ব্যানার্জি।

অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোর ( পিকে ) মমতাকে বলেছেন, নির্বাচন পর্যন্ত তিনি যা বলবেন মমতাকে তা শুনতেই হবে। পছন্দ হোক বা না হোক, শুনতে হবে। আর এমন একটা দৃশ্য কল্পনা করতে পারছেন না ৩০/বি হরিশ চট্টোপাধ্যায় স্ট্রিটে নিত্য যাতায়াতকারী তৃণমূলের কোনও নেতা। কিংবা নবান্নে বসা কোনও মন্ত্রীর পক্ষেও এ নিদারুন কষ্টের কল্পনা। আসলে মমতাকে যাঁরা চেনেন তাঁদের সকলের কাছেই এ এক অসম্ভব কাণ্ড। শুধু তাই নয় এদিকে সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে বেশি কথা বলতে পিকে তাঁকে বারন করেছেন। এবং মমতাও নাকি মাথা পেতে শুনছেন বাধ্য ছাত্রীর মত, যা দেখে নাকি সুব্রত বক্সী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের চোখ কপালে উঠেছে। সাথেই এদিকে পুরভোটে প্রার্থী বাছাইতেও মমতার হাতে বেড়ি পরিয়েছেন প্রশান্ত। বলেছেন মাত্র ১০ শতাংশ প্রার্থী তিনি বাছাই করতে পারবেন, বাকিটা থাকবে প্রশান্তর হাতে।