তৃণমূলে কি লক্ষন শেঠের ঠাঁই হবে?আজকের সভা থেকে মমতা যা বললেন ..

বুধবার পূর্ব মেদিনীপুরের বাজকুলের প্রশাসনিক সভা থেকে নাম না করে লক্ষন শেঠকে আক্রমণ করলেন মমতা ব্যানার্জি ।এদিন তিনি বলেন,”সিপিএম হার্মাদদের তৃণমূলে কোনো জায়গা নেই সাফ জানিয়ে দেন মমতা।একই সাথে সিপিএমের অত্যাচার প্রসঙ্গ তুলে ধরে বিজেপিকে বার্তা দেন মমতা। বলেন,”সিপিএমের হার্মাদরা আজ বিজেপিতে ঢুকে গিয়েছে।ওদের থেকে সাবধান থাকবেন।ওরা অনেক মানুষের মধ্যে বিভাজন তৈরী করে।সংখ্যালঘুদের খুন করে।বাঙালিদের তাড়িয়ে দেয়।আমি আজ বলে দিলাম ,এই হার্মাদরা বাংলার মানুষকে যদি বিরক্ত করে সব কটাকে তাড়িয়ে দেব।এটাই আমাদের চ্যালেঞ্জ।

প্রসঙ্গত,গত ১৬ই সেপ্টেম্বর রামের ঘর অর্থাৎ BJP ছেড়ে অনুগামীদের নিয়ে বেরিয়ে আসেন লক্ষন শেঠ । বেরিয়ে আসার পর তিনি জানান, “সেখানে কাজ করার কোনও সুযোগ নেই। আর BJP-র পুরোনোরা নতুনদের গ্রহণ করছে না। আর যেখানে কাজের কোনও সুযোগ নেই, সেখানে থেকে কী লাভ ? সাথেই তিনি জানান জেলাজুড়ে আমাদের ১০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মী BJP ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। BJP-র মধ্যে কোনও গণতন্ত্র নেই। BJP-কে পরিচালনা করে RSS। আমরা চাই না রাম ও রহিমের মধ্যে কোনও বিভেদ হোক। আদর্শগত ও সাংগঠনিক কারণে দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”তারপর থেকেই রাজ্য রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়।এবার তিনি কোন দলে যোগদান করতে চলেছেন তা নিয়ে শুরু হয় বিস্তর জল্পনা। এদিকে লক্ষন শেঠের এক ঘনিষ্ঠ সূত্রের মাধ্যমে খবর পাওয়া গিয়েছিল ,তিনি নাকি শাসক শিবিরে যোগদান করতে চলেছেন, এবং সেই সূত্র আরও জানিয়েছে, এই যোগদানের বিষয়ে মুখ খুলেছেন খোদ লক্ষন শেঠ। তিনি জানান, কংগ্রেস যদি নিতে চায় আমাদের কোন অসুবিধে নেই, কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস নিতে খানিকটা হয়ত দিধাগ্রস্থ আছে। কারন নন্দিগ্রাম ঘটনার সঙ্গে আমার নামটাই বেশি জরানো হয়েছে । কিন্তু একটুকুই বলব যা হয়েছে পুরোটাই আলিমুদ্দিনের সিধান্তে। তাই স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের আর নিতে চাইবে না । তবে যদি শুভেন্দু অধিকারী যদি রাজি হয় তবে তৃণমূল কংগ্রেস আমাদের হয়ত নিতে পারবে।
এদিকে,আজকের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দিলেন, লক্ষন শেঠের ঠাঁই হবেনা তৃণমূল।এবার তাহলে কোন দলে যোগ দেবেন লক্ষন শেঠ?সেই দিকেই নজর থাকবে গোটা রাজনৈতিক মহলের।