কাঁথিজুড়ে শুভেন্দুর সমর্থনে হোডিং,রেগে লাল তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি!

73

দাদার সাথে ছিলাম, আছি,থাকবো! সোমবার কাঁথি শহর জুড়ে শুভেন্দু অধিকারীর নামে এ রকম হোডিং লাগানো হয়। হোডিংয়ের নিচে ঝাঁকে ঝাঁকে সই ও করেন শুভেন্দু অনুগামীরা। কাঁথির পাশাপাশি পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগর এবং তারকেশ্বরেও শুভেন্দুর সমর্থনে পোস্টার দেন অনুগামীরা। যা দেখে রেগে গেলেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর অখিল গিরি। এদিন অখিল গিরি বলেন, ‘সরকারি পদ সঙ্গে রেখে দাদার অনুগামী এই ধরনের পোস্টার,ব্যানার লাগিয়ে সেই মঞ্চে দাঁড়িয়ে শুভেন্দু অধিকারীর কর্মসূচি সম্পূর্ণ ভাবে দল বিরোধী কাজ করছে। সে ব্যাপারে আমরা রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসকে অবহিত করেছি। দল যা ব্যবস্থা নেবে তাঁর জন্য অপেক্ষা করছি।’
এদিকে অখিল গিরির এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিয়েছেন শুভেন্দু ঘনিষ্ট তৃণমূল নেতা কনিষ্ক পন্ডা। তিনি বলেন, ‘শুভেন্দুবাবুর সম্পর্কে উনার বোধহয় কথা না বলা ভালো।কারন উনার কোনো এক্তিয়ার নেই শুভেন্দুবাবুর বিরুদ্ধে কথা বলার। শুভেন্দুবাবু যে স্তরের নেতৃত্ব, বাংলার যুব সূর্য যে মমতা ব্যানার্জির পরে। তাঁর সম্পর্কে বলতে গেলে সয়ং মমতা ব্যানার্জিকে বলতে হবে।’

রাজ্যে বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসছে শুভেন্দু অধিকারীর রাজনৈতিক ভবিষ্যত ঘিরে ততই জল্পনা বাড়ছে। শনিবার নন্দীগ্রামে শুভেন্দুর অরাজনৈতিক বিজয়া সম্মিলনী দেখে অনেকেই চর্চা শুরু করেন। পরের দিন সেই নন্দীগ্রামেই সরকারি মঞ্চে উঠেন শুভেন্দু। মন্ত্রী হিসেবে নিজের দপ্তরের কাছে ফিরিস্তিও দেন। তাতেও বিতর্ক থামেনি। উল্টে শুভেন্দুর কথায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য খুঁজে পেয়েছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরই মধ্যে শুভেন্দুর এই রকমের হোডিং ঘিরে জল আরও গড়াল।