‘বিচার চাইতে এলে নিউজ করার আগে চাইতে হবে’ এবার সাংবাদিকদের সাংবাদিকতা শেখালেন মুখ্যমন্ত্রী!

83

তিনি মমতাময়ী, তিনি সবই পারেন অর্থাৎ রাজ্যের প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে শুরু করে গান লেখা, ছবি আঁকা, এমনকি কবি হয়ে ওঠা তাঁর পক্ষে কোন অসাধ্যের কাজই নয়। কিন্তু এবার এসব ব্যাপারকে খানিকটা দূরে রেখে সাংবাদিকদের সাংবাদিকতার পাঠ শেখালেন তিনি। উল্লেখ্য, গত ৩’রা ডিসেম্বর পশিচম মেদিনীপুরের কেশিয়াড়ীতে মুখ্যমন্ত্রীর জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার সময় বিনা পয়সায় পেট্রল না দেওয়ায় পাম্পের কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়ে তৃণমূলকর্মীরা। সেই ঘটনার ছবি তুলতে গিয়ে আক্রান্ত হন দুই চিত্রসাংবাদিক, একজনের নাম মৃন্ময় চৌধুরি আরেকজনের নাম শেখ ওয়ারেস আলি । এবং সে বিষয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে এক সাংবাদিক প্রশ্ন করলে তিনি জানান, পলিটিক্স কোরো না। শোনো তোমাদেরও (সাংবাদিকদের) মনে রাখতে হবে, একটা সিস্টেমে থাকতে হবে। সিস্টেম মানতে হবে। কোনওরকম প্রবলেম হলে এসপি দেখবে।” তিনি আরও বলেন, “আমি সব দেখেছি। সব শুনেছি। তোমাদের কাগজে ইতিমধ্যে খবর বেরিয়ে গেছে। বিচার চাইতে এলে নিউজ় করার আগে চাইতে হবে। আর এস-পি তো তোমার সঙ্গে কথা বলেছেন।” ঘটনাচক্রে, মুখ্যমন্ত্রীর উত্তরের সময় প্রশাসনিক সভার সামনের সিটেই বসেছিলেন মারধরের ঘটনায় অভিযুক্ত কেশপুর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শুভ্রা সেনগুপ্ত। এবং তাঁর সামনেই( শুভ্রা সেনগুপ্ত) সাংবাদিকদের পরামর্শ দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তোমরা যদি মনে কর নিউজ় দিয়ে, ভিউজ় দিয়ে প্যাকেজিং করবে, আবার ম্যানেজ করারও চেষ্টা করবে, দুটো হবে না। যে কোনও একটা হবে না। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “BJP-র লোককে দিয়ে গন্ডগোল করিয়ে আমায় বোঝাতে আসবে না। এসব আমি ভালোই বুঝি।” তার জবাবে সেই সাংবাদিক বলেন, “BJP ছিল না।” তা শুনে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “আমি অনেক কিছু জানি। সেখানে কী ঘটেছে বা কী ঘটেনি সবটা নিয়ে এখানে আলোচনা করতে চাই না। তোমরা ইতিমধ্যে SP-র সঙ্গে কথা বলেছ। SP দেখবে।”