তাপস পালের জন্য ক্ষমা চাইলেন মমতা! তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি

146

জনপ্রিয়তার তুঙ্গে থাকা অবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন অভিনেতা তাপস পাল। ২০০৯ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস থেকে টিকিট নিয়ে নির্বাচিত হয়ে কৃষ্ণনগর থেকে এমপি হন। কিন্তু ২০১৪ সালে কেন্দ্রীয় সরকারের নির্বাচনের কিছুদিন আগে একটি নির্বাচনী প্রচারণা সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে তাপস পাল বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন।ওই সভায় তিনি নিজেকে ‘চন্দননগরের মাল’ বলে পরিচয় দেন এবং জানান যে তিনি পকেটে ‘মাল’ নিয়ে ঘুরে বেড়ান। এছাড়াও বিরোধীপক্ষের বাড়িতে ছেলে ঢুকিয়ে দেবার হুমকিও দেন তিনি। পরে এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলে তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চান।

২০১৬ সালের শেষ ভাগে তাপস পাল আবার সংবাদ শিরোনামে আসেন রোজ ভ্যালি নামে একটি চিট ফান্ডের সাথে যুক্ত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। ১৩ মাসের জেল জীবন শেষে গেল ফেব্রুয়ারি মাসে জামিনে মুক্ত হন তিনি। ইমেজ সংকটে তাকে আর এবার নির্বাচনে প্রার্থী করেনি মমতার তৃণমূল কংগ্রেস।

তবে বর্তমানে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত হয়ে বেকার হয়ে পড়েছেন তাপস। দলে তার কিছুমাত্র পাত্তা নেই। আর তাই রাজনীতির ময়দান থেকে বের হয়ে জীবনের প্রয়োজনে বাধ্য হয়ে তাই ফিরেছেন সেই পুরনো যাত্রামঞ্চে।

এদিকে লোকসভা নির্বাচনে এবার তাপসের আসনে এবার করিমপুরের বিধায়ক মহুয়া মৈত্রকে প্রার্থী করা হয়েছে। কিন্তু মহুয়া মৈত্রের হয়ে প্রচারেও একবারের জন্যও দেখা যায় নি তাপস পালকে। আর তাই তাপসের হয়ে ক্ষমা চাইলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সম্প্রতি নদিয়ার পানিঘাটার সভায় তিনি বলেন, তাপস অসুস্থ। তাই দু’মাস কাজে আসতে পারেনি। ওর হয়ে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। রোজভ্যালি দুর্নীতিতে অভিযুক্ত তাপস পাল। তৃণমূলের অন্দরের খবর, তাপস পাল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই তাঁর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ বা সম্পর্ক রাখেনি দল। এমনকি, এবার লোকসভা নির্বাচনে কৃষ্ণনগর থেকে আর প্রার্থীও করা হয়নি তাপস পালকে। সেখানে হঠাৎ শনিবার জনসভায় তাপস পালের হয়ে তৃণমূল নেত্রীর ক্ষমা চেয়ে নেওয়া নিঃসন্দেহে তাত্পর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। যদিও এড়িয়ে গিয়েছেন গ্ৰেফতারি প্রসঙ্গ।