মমতার নয়া চালে কুপকাত বিজেপি! শেষমেষ ভুল বুঝতে পেরে ঘরে ফিরল ঘরের ছেলে

142

শুক্রবার সন্ধ্যায় নবদ্বীপ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির একটি অনুষ্ঠানে বিজেপিতে যাওয়া প্রায় শতাধিক কর্মী আবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। কর্মীদের হাতে তৃণমূলের দলীয় পতাকা তুলে দেন নবদ্বীপের বিধায়ক পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা ও নদীয়া জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তথা নবদ্বীপ পুরসভার চেয়ারম্যান বিমানকৃষ্ণ সাহা। উপস্থিত ছিলেন নবদ্বীপ ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি তাপস ঘোষ, নবদ্বীপ শহর তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি সুজিত সাহা, নবদ্বীপ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলার দেবাশিস ঘোষ প্রমুখ।
পুণ্ডরীকাক্ষ সাহা বলেন, লোকসভা নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার দিন থেকেই নবদ্বীপে অশান্তির পরিবেশ সৃষ্টি করছে বিজেপি। নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজ থেকে সর্বত্রই ভয় দেখিয়ে নবদ্বীপের শান্তি-শৃঙ্খলা বিঘ্নিত করছে ওরা। বিজেপি মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে, সত্যকে গোপন করে কিছু মানুষকে নিজেদের দলে যোগদান করিয়ে ছিল। এখন তাদের মোহ ভঙ্গ হয়েছে। তারা আবার তৃণমূলে ফিরে আসছেন।
দেবাশিসবাবু বলেন, আমাদের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কিছু তৃণমূল কর্মীকে ভুল বুঝিয়ে, মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে লোকসভা নির্বাচনের পরে বিজেপিতে যোগদান করানো হয়েছিল। কিন্তু কর্মীরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে বিজেপি ছেড়ে আবার তৃণমূলে ফিরে এসেছেন।
একসময়ে তৃণমূলের সক্রিয় কর্মী বিল্টু দাস দলবল নিয়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন। তিনি ওইদিন তৃণমূলের ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচিতে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেন। বিল্টুবাবু বলেন, বিজেপিতে কাজের পরিবেশ নেই। ওখানে কে নেতা হবেন সেই নিয়েই নিজেদের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরম। কাজেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আদর্শে ও তাঁর দলের নেতৃত্বে কাজ করবার জন্যই তৃণমূলে যোগদান করলাম।
নবদ্বীপ বিধানসভার বিজেপির সুপার কনভেনার গৌতম পাল বলেন, প্রতিটি রাজনৈতিক দলেরই দু’টি দরজা থাকে। একটি ঢোকার ও অন্যটি বেরিয়ে যাওয়ার। নবদ্বীপ পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপির সক্রিয় কর্মী যারা মিছিল, মিটিং করে এবং দলের সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন, তারা কেউ দল ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন বলে আমার কাছে কোনও খবর নেই। এটি অপপ্রচার ছাড়া আর কিছুই নয়।