ঘরের ছেলেকে বিজেপির দিকে ঠেলে দিলেন মমতা!

লুচি আলুরদম খাওয়ানোকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত।তার পর থেকেই ক্রমশ জল্পনা চলছিল।রাজনৈতিক মহল ভেবেছিল বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্তের বিজেপিতে যোগদান করা শুধু সময়ের অপেক্ষা।কিন্তু সব জল্পনার অবসান সব্যসাচী ঘটিয়েছিলেন।তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেছিলেন, তিনি তৃণমূলেই আছেন।কিন্তু এবার যা ঘটল তা রীতিমতো চাঞ্চল্যকর।সয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা ব্যানার্জি তাঁকে বিজেপিতে চলে যেতে বলছেন।

উল্লেখ্য,সম্প্রতি পৌরসভার চেয়ারম্যান, কাউন্সিলরদের নিয়ে নজরুল মঞ্চে সভা করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা ব্যানার্জি।সেখানে কাউন্সিলরদের কড়া বার্তা দেওয়ার পাশাপাশি কাটমানি প্রসঙ্গে মুখ খুলেন।তিনি এদিন বলেন,”যারা কাটমানি খেয়েছেন তাদের টাকা ফেরত দিতে হবে।শুধু এটাই বলে থামেননি তৃণমূল সুপ্রিমো তিনি আরও বলেন,যারা যাওয়ার তারাতারি চলে যান,আমরা কাজটা শুরু করব এবার।পাঁচজন গেলে আমি পাঁচশোজন তৈরী করব।”একটি বিশেষ সূত্রে খবর, সভা শেষে মঞ্চ থেকে নামতে যাবে এমন সময় বিধাননগরের মেয়র সব্যসাচী দত্ত মমতার কাছে আসেন,তাকে দেখেই মমতা দাঁড়িয়ে পড়েন।মমতা এদিন তাঁকে বলেন,তুই এখনো তৃণমূলে কেন আছিস?বিজেপি চলে যা।উপস্থিত নেতারাও তখন সব্যসাচী আর মমতার দিকে তাকিয়ে। জানা গিয়েছে সব্যসাচী নাকি তখন মৃদু স্বরে বলেন, কেন দিদি। মমতা তখন বলেন, বাড়িতে ডেকে মুকুলকে লুচি-আলুরদম খাওয়াচ্ছিস। একসঙ্গে লোকনাথ বাবার উৎসবে যাচ্ছিস। আমি কিছুই জানিনা ভাবছিস? তখন সব্যসাচী মুখ্যমন্ত্রীকে বোঝানোর চেষ্টা করেন, বাড়িতে মুকুলদা এমনিই চলে এসেছিলেন।আর লোকনাথ বাবার উৎসবটা তিনি জানতেন না মুকুলদা যাবেন। এ কথা শুনে মমতা আরও খানিকটা রেগে গিয়ে বলেন, আমি জানি তুই ওঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখিস। আমারও কাছে সব খবর আছে। তুই এখন নিজেকে খুব চালাক ভাবছিস। যদিও এই প্রসঙ্গে সব্যসাচী বলেন, “এমন কোনও ঘটনাই ঘটেনি।”

এদিকে, রাজনৈতিক মহল মনে করছে সব্যসাচী দত্ত যেতে না চাইলেও ঘরের ছেলেকে বিজেপির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন মমতাই।