করোনার কারণে ফের কি বন্ধ হচ্ছে স্কুল? নয়া সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার

1978

বাংলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা (Corona) সংক্রমণ। গতকাল, রাজ্য স্বাস্থ্য দপ্তরে বুলেটিন অনুযায়ী, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন প্রায় তিন হাজারের কাছাকাছি মানুষ। এই পরিস্থিতিতে করোনার বাড়বাড়ন্ত চিন্তার কারণ হয়ে উঠছে এবং শুধু ছাত্রসমাজ নয়, আমজনতাকেও সতর্কতার বিধি মেনে চলতে বলা হচ্ছে। তবে স্কুলগুলিতে আলাদা ভাবে বিধিনিষেধ আরোপ বা স্কুলে পঠনপাঠন বন্ধ করে দেওয়ার মতো কোনও সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকার এখনই নিচ্ছে না বলে শুক্রবার স্পষ্ট ভাবে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘‘স্কুলে আলাদা ভাবে কোনও বিধিনিষেধ নিয়ে স্বাস্থ্য দফতর থেকে এখনও কোনও নির্দেশিকা পাইনি আমরা। স্কুলশিক্ষা দফতর নিজেরা কোনও সিদ্ধান্ত নিতে পারে না। স্বাস্থ্য দফতর যদি কোনও নির্দেশিকা দেয়, সেই অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’ শিক্ষক শিবির তো বটেই, অভিভাবকদেরও একটি বড় অংশ চাইছেন, খোলা থাকুক স্কুল। কারণ, প্রায় দু’বছর স্কুল বন্ধ থাকায় ইতিমধ্যে পড়াশোনার যে-ক্ষতি হয়েছে, তা কার্যত অপূরণীয় বলে মনে করা হচ্ছে। তাই এখন প্রয়োজনে বিধিনিষেধ আরোপ করেও স্কুলে পঠনপাঠন চালু রাখতে চান তাঁরা।

এদিকে শিক্ষকদের একাংশের মতে, এই অসতর্কতা, এই সচেতনতাহীন অবস্থা চলতে থাকলে স্কুলপড়ুয়াদের মধ্যে করোনা সংক্রমণ যেমন বাড়তে পারে, একই ভাবে আক্রান্ত হয়ে পড়ার আশঙ্কা শিক্ষকদেরও। বেশ কিছু স্কুল জানায়, করোনা সংক্রমণের ফলে হাজিরা কমছে শিক্ষকদেরও। নিজের বা বাড়ির লোকের করোনা উপসর্গ দেখা দিলেই শিক্ষকেরা স্কুলে আসা বন্ধ করে দিচ্ছেন। কোয়রান্টিন লিভও মিলছে। ফলে পড়ানোর মতো পর্যাপ্ত শিক্ষক পাওয়া মুশকিল হয়ে পড়ছে।