লোভের টাকা যার কাছে রেখে দিচ্ছেন সেই মেরে দিচ্ছে! নাম না করে পার্থর দিকে কি আঙ্গুল তুললেন মমতা?

সাধারণ ভাবে জীবনযাপন করার বুদ্ধির ভাণ্ডার রয়েছে তাঁর হাতের মুঠোয়। সেই বুদ্ধির ভাণ্ডার থেকে খানিকটা বুদ্ধি এবার কৃষ্ণনগরের নেতা, কর্মীদের ধার দিয়ে এলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! অর্থাৎ কৃষ্ণনগরের সভা থেকে দলের নেতা, কর্মীদের লোভ না করার পরামর্শ দিলেন তৃণমূলনেত্রী। দলীয় কর্মীদের উদ্দেশে তাঁর বার্তা, অর্থই অনর্থ৷ লোভ করলে সমাজে মাথা নিচু হয়ে যায়।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমি চাই তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীরা মাথা উঁচু করে চলবে। কোনও লোভ যেন তাঁদের গ্রাস না করতে পারে। আমি ছোটবেলা থেকে পার্টি করে যদি একই বাড়িতে থাকতে পারি, একই খাবার খেতে পারি, একই রকম জিনিস পরতে পারি, তাহলে কেন আমাদের লোভ বাড়বে। সোনা মুক্তর মালা আমরা খাবো না। যতটুকু প্রয়োজন ততটুকু রাখব’ এর পরেই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘জানেন তো, আমি এক এক সময় বিছানায় শুয়ে ভাবি, এই তো আমার একটা বিছানা আছে, একটা ঘর আছে, আমি ঘুমোচ্ছি। কাল যদি মরে যাই, এই ঘরটা কে দেখবে? দেখার লোক নেই, অর্থই অনর্থ, লোভ করে টাকা নিয়ে যার কাছে রেখে দিচ্ছেন সে মেরে দিচ্ছে। লোভ করতে গিয়ে সমাজে বদনাম হচ্ছে।’ তাহলে কি উদাহরণ হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী নাম না করে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে দুষলেন। এমনটাই প্রশ্ন করছেন বিরোধী দলের একাংশ নেতা নেত্রীরা। যদিও পরবর্তীতে তৃণমূলনেত্রী দলের নেতাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন, দলের কয়েকজন নেতার দুর্নীতির সঙ্গে যোগ থাকা মানেই সবাইকে খারাপ ভাবা ঠিক নয়। মমতার কথায়, ‘মায়েদের জিজ্ঞেস করছি, আপনার পাঁচটা ছেলেই কি এক রকম হয়?’ ভুল করলে সংশোধন করে নেওয়ার বার্তাও দেন মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য, মাস খানেক আগে এসএসসি দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। তদন্তে নেমে প্রায় ৫০ কোটি টাকা নগদ উদ্ধার করেছে ইডি। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে তাল-তাল সোনা, রুপো, হীরে।