লক্ষ্মী নিয়ে এল রাজ্যের মা-বোনেদের জন্য সুখবর! বাড়ছে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পের টাকা?

আর্থিক দিক থেকে পিছিয়ে থাকা পরিবারগুলির প্রধান মহিলা সদস্যের হাতে প্রতি মাসে অর্থ সাহায্য তুলে দেওয়ায় লক্ষ্যে গতবছর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামে প্রকল্প চালু করেছিল রাজ্য সরকার। মূলত, তৃতীয়বার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার আগে এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামক প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতাময়ী মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে কোনও মহিলাই এই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন। কিন্তু নবান্নের তরফে জানানো হয়েছিল, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হতে গেলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড, আধার কার্ড এবং অন্য জাতিভুক্ত হলে সেই জাতির শংসাপত্র থাকা বাধ্যতামূলক। আপাতত ২৫ থেকে শুরু করে ৬০ বছর বয়স পর্যন্ত সমস্ত মহিলারা এই প্রকল্পের সুবিধা পাচ্ছেন।তবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প মূলত দুটি শ্রেণির জন্য রয়েছে। এই প্রকল্পে তফসিলি জাতি এবং উপজাতির মহিলারা প্রতি মাসে ১০০০ টাকা করে পান। সাধারণ শ্রেণির মহিলারা প্রতি মাসে ৫০০ টাকা করে পান। কিন্তু এবারের দুর্গা পুজোকে ঘিরে রাজ্যে ৫০ হাজার কোটি টাকার লেনদেন হওয়ায় এই অর্থের একটা অংশ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জনহিতে কাজে লাগাতে পারেন বলে সূত্রের খবর। সেক্ষেত্রে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রাপকদের টাকার মূল্য অন্তত ২৫০ টাকা বাড়ানো হতে পারে সূত্রের খবর। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন মুখ্যমন্ত্রী।

অন্যদিকে, আরেকটি সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, পঞ্চায়েত ভোটের আগে রাজ্য সরকার এই ধরণের জনমুখী প্রকল্পগুলির বাজেট বরাদ্দ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে সাধারণ মহিলাদের মাসিক বরাদ্দও বাড়তে পারে। তবে গোটা বিষয়টি সিলমোহর দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাৎ দুটো সূত্র মারফত বিচার করলে দেখা যাচ্ছে যে লক্ষ্মী ভান্ডারের টাকা বাড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার যে রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আরও একটি বড় মাষ্টারস্ট্রোক দিতে চলেছেন তা নিঃসন্দেহে বলা যায় এমটাই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ।