‘বিজেপি’র হাত ধরতে ‘মমতা’র হাত ছাড়লেন এই ‘হেভিওয়েট নেতা’!

‘বিজেপি’র হাত ধরতে ‘মমতা’র হাত ছাড়লেন এক ‘হেভিওয়েট নেতা’! তানিয়েই দেশের রাজনীতি সরগরম। ৭ ডিসেম্বর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহর সভার আগেই পদত্যাগের চিঠি পাঠালেন কামতাপুর প্রগ্রেসিভ পার্টি বা কেপিপি-র সভাপতি অতুল রায়।

জানাগেছে রাজ্যের কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমির ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।

সম্প্রতি কেপিপি নিখিল গোষ্ঠীর তরফে এন আর সি পি বিষয়ে জলপাইগুড়ি শহরে মিছিল করে জলপাইগুড়ির বিভাগীয় কমিশনারকে স্মারকলিপিও দিয়েছিলেন। উত্তরবঙ্গের রাজনৈতিক মহলে এবারে অতুলের পদত্যাগকে ঘিরে জোর চাঞ্চল্য সৃষ্টি হলো।

জলপাইগুড়ি প্রেস ক্লাবে আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে পদত্যাগের কথা ঘোষনা করেছিলেন অতুলবাবু। বলেছিলেন, চলতি মাসে তাঁর নেতৃত্বে দিল্লীতে হাজির হয় কেপিপির একটি প্রতিনিধি দল। সেখানে দফায় দফায় মিটিং হয়। সেই মিটিংয়ে বিজেপি তাদের গত লোকসভা নির্বাচনের আগে কেপিপি-কে দেওয়া প্রতিশ্রুতি মেনে নেয়।

বিজেপি যদি রাজনৈতিক ক্ষমতায় আসে, কথা ছিল কামতাপুরি ভাষাকে অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করবে। নির্বাচনী ইশতেহারেও উল্লেখ ছিল তা। অমিত শাহ ৭ ডিসেম্বর সে বিষয়ে ঘোষণা করবেন।

সেই সভায় যাবার আগেই অতুলবাবুর পদত্যাগ। তবে কী তিনি বিজেপিতে যোগদান করছেন? এ বিষয়ে প্রশ্ন করলে তেমন স্পষ্ট উত্তর পাওয়া যায়নি।

রাজ্য সরকার কামতাপুরী ভাষা অ্যাকাডেমি করে দেবার পরেও কেন এই সিদ্ধান্ত নিলেন? অতুলবাবু বলেন, “একথা ঠিক যে আমরা এতদিন দিদির ছত্রছায়ায় ছিলাম। দিদি আমাদের অ্যাকাডেমি বানিয়ে দিয়েছিলেন। আমরা তৃণমূলকে ভোটও দিয়েছিলাম। কিন্তু আমি আমার জনজাতির কাছে দায়বদ্ধ। আমাদের বহু সদস্য এই ভাষা আন্দোলন করতে গিয়ে গুলি খেয়ে মারা গেছেন। এবার যখন আমাদের ভাষা অষ্টম তফসিলের অন্তর্ভুক্ত হতে যাচ্ছে, আমি বিজেপির সেই মঞ্চে যাবো। তাই আমি নীতিগত ভাবে তার আগে রাজ্যের এই পদ থেকে ইস্তফা দিলাম।”