নোটবন্দি থেকে ১০০ দিনের প্রাপ্য মোদি সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনের ডাক মমতার

90

তিনদিনের জঙ্গলমহল সফরের শেষ দিন বুধবার বাঁকুড়ার সতীঘাটের কর্মিসভা থেকে কেন্দ্রের মোদি সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এদিন নির্ধারিত সময়ের কিছুটা আগেই সভা শুরু করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, কলকাতায় প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী কে কে (K K)-কে বিমানবন্দরে শেষশ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত থাকতে হবে তাকে। এদিন বক্তব্যের শুরুতে সঙ্গীতশিল্পীর প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন মমতা। জঙ্গলমহলের মানুষদের প্রতি লড়াইয়ের বার্তা দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

অতীতের জঙ্গলমহলের রক্তাক্ত দিনের কথা স্মরণ করে মমতা বলেন, সেই সময় বাঁকুড়া রাস্তা রক্ত ভেসে থাকত, বাড়ির বাইরে বেরতে ভয় পেতেন। কিন্তু তৃণমূল জমানায় বাঁকুড়ায় শান্তি ফিরিয়েছে। এর জন্য স্থানীয়দের ধন্যবাদ জানান তৃণমূল নেত্রী। কিন্তু বাঁকুড়া-পুরুলিয়া-বিষ্ণুপুর এই অঞ্চলে বিধানসভা নির্বাচনে ভালো ফল করতে পারেনি শাসকদল। মমতা বলেন, জিতে যাওয়ার পরে বিজেপির আর দেখা পাওয়া যায় না। অথচ হেরে গেলেও বাঁকুড়ার মানুষের পাশে রয়েছেন তৃণমূলের সায়ন্তিকা বন্দ্যোপাধ্যায় (Sayamtika Banerjee)। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো বার্তা, “দিদি হেরে গিয়ে যদি আসতে পার, তাহলে আপনারা বাড়ি বসে আছেন কেন? বেরয়ে আসুন“ সংগঠন মজবুত করার ডাক দেন তৃণমূল সুপ্রিমো।

আগেই জুনের ৫-৬ তারিখ মোদি সরকারের বঞ্চনার প্রতিবাদে বিশেষ করে ১০০দিনের কাজের টাকা না দেওয়ার প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঁকুড়ার কর্মিসভা থেকে তিনি জানান, “ব্লকে ব্লকে ওই দুদিন প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করুন। বলুন একশো দিনের টাকা কোথায়? মোদি সরকার জবাব দাও, না হলে বিদায় নাও।“

নোট বন্দি নিয়েও মোদি সরকারের বিরুদ্ধে তীব্র আক্রমণ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সেই সময় আমি বলেছিলাম ঠিকভাবে লাভ হবে না। এখন প্রমাণিত নোট বন্দির ফলে ৫০০ টাকার নোট ৭০% চালু হয়েছে”। আগামী আন্দোলনের কর্মসূচি থেকে এই বিষয় নিয়েও কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে জোরদার আন্দোলনের ডাক দেন মমতা।

নরেন্দ্র মোদির উজ্জ্বলা প্রকল্প নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বলেন, উজ্জ্বলা হাওয়ালা হয়ে হাওয়ায় ভেসে চলে গিয়েছে। ধোকলা হয়ে মানুষকে ধোকা দিয়েছে।
মঙ্গলবার বাঁকুড়া প্রশাসনিক বৈঠকের পর বুধবার কর্মিসভা থেকেও এলাকার উন্নয়নের বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, বাঁকুড়া-পুরুলিয়ায় ৭২ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হচ্ছে, লক্ষ-লক্ষ ছেলে মেয়ে চাকরি পাবে।