ছাত্র সভানেত্রীর পদ থেকে অপসারণের পর বিস্ফোরক চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায়

114

২০১৯ লোকসভায় তৃণমূলের ভরাডুবির পর এই প্রথম ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যর হাত ধরে তৃনমূল ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতির পদে বড়সড় রদবদল ঘটল । অর্থাৎ বাঁকুড়া জেলা ও পুরুলিয়া জেলায় ছাত্র সংগঠনে নতুন দুই মুখ এল । বাঁকুড়া জেলায় চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের জায়গায় এলেন তীর্থঙ্কর কুণ্ডু। আর পুরুলিয়ায় নিরাঞ্জন মাহাতোর জায়গায় এলেন কিরিটি আচার্য। তবে ইতিমধ্যে চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায়কে নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজনৈতিক মহলে। কারন গত বছর ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতির রদবদলের সময় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম বারবার শিরোনামে উঠে আসছিল । তবে হঠাৎ কেন চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায়কে সরিয়ে দেওয়া হল? এবিষয়ে ছাত্র সংগঠনের রাজ্য সভাপতি তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্যকে ফোন করা হলে তিনি জানান, অনেকেদিন ধরে তীর্থঙ্কর কুণ্ডু ভালো কাজ করছেন জেলায়। যার জন্যই বাঁকুড়া জেলার ছাত্র সংগঠনে রদবদল করা হল। শুধু তাই নয় ছাত্র সংগঠনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমরা নতুন মুখ আনতে চেয়েছিলাম তাই আজ বাঁকুড়া জেলা ও পুরুলিয়া জেলায় ছাত্র পরিষদের জেলা সভাপতি বদল করা হল ।

এদিকে চুমকি বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন হলে তিনি স্পষ্ট জানান, এটা দলের সিধান্ত, দল যা ভালো বুঝেছে তাই করেছে । তবে এই ব্যাপারে তিনি কি মর্মাহত? এই নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, দেখুন আমি মর্মাহত নই, তবে এবিষয়ে আমি আগে থেকে কিছু জানতাম না । কিন্তু ঘণ্টা খানেক আগে আমায় হোয়াটস অ্যাপে এই বিষয়ে জানানো হয়, এবং জানানোর পরেই দেখলাম রাজ্য সভাপতি ফেসবুকে ঘোষণা করে দিয়েছে । তবে ঘোষণার করার আগে আমায় ফোন করে কিছু জানানো হয়নি। তবে আমার খারাপ লাগছে। কারন এতগুলো বছর দলের জন্য নিরস্বার্থ ভাবে কাজ করেছি । তাই আমাকে আগের থেকে না জানিয়ে রদবদলের কথা ঘোষণা করে দেওয়ার ব্যাপারে অবাক হয়েছি । তবে হয়ত দল কিছু ভালো বুঝেছে বলেই আমাকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ।