বালেশ্বরের রেল দুর্ঘটনা ফেরাল লকডাউনের স্মৃতি! পায়ে হেঁটে বাড়িতে পৌঁছলেন জখম শ্রমিকেরা

মাস তিনেক ধরে বাড়িতে বেকার বসেছিলেন মুর্শিদাবাদের প্রেমকুমার মণ্ডল ও মনতোষ মণ্ডল। যদিও অবশেষে কাজ এল, কিন্তু করমণ্ডল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনার জন্য সেকাজও হারাতে হল তাঁদের। মূলত, করমণ্ডল এক্সপ্রেসের জেনারেল বগিতেই সওয়ার হয়েছিলেন একই পাড়ার দুই শ্রমিক। উপার্জন তো হলই না, উলটে ক্ষত-বিক্ষত হয়ে একগাদা খরচ করে ফিরতে হল বাড়িতে।

আবার অন্যদিকে একই কাহিনি সুন্দরবনের পাথরপ্রতিমার মন্টুচরণ মালিকের। যেন ফিরে এল সেই লকডাউনের স্মৃতি। প্রেমকুমারের পা কেটে হাড় বেরিয়ে এসেছে। মনতোষের লেগেছে নাকে। আর, পিঠের যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে ওই রাতেই হাঁটা শুরু করলেন মন্টু। কতটা কম ভাড়ায় ফেরা যায়, সেটারই হদিশ পেতে হাঁটতে হাঁটতে শুরু হল দরদাম। সকলেই রাজমিস্ত্রির কাজ করেন। মন্টু বলছিলেন, ‘বিকট আওয়াজ হল! বগিটা উল্টে গেল। জানালা দিয়ে আমরা কয়েকজন বেরলাম।’ মন্টুরা আটজন মিলে ১১ হাজার টাকায় গাড়ি ভাড়া করে এলেন সাঁতরাগাছি। সেখান থেকে কিছুটা হেঁটে তারপর ট্রেনে সোজা এমআর বাঙুর হাসপাতাল। সেখানে চিকিত্সার পর কলকাতায় এক আত্মীয়ের বাড়িতে গেলেন তিনি। প্রেমকুমার ও মনতোষ হাজারখানেক টাকা খরচ করে বাসে চেপে এলেন ধর্মতলায়। তারপর এসএসকেএমে প্রেমকুমারের পা, মনতোষের নাকে সেলাই হল। সেখান থেকে আবার মুর্শিদাবাদের ট্রেন।