৪২ বছর পর রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারে কংগ্রেস! বলছে ভবিষ্যৎবানী

166

২০১৪ লোকসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গ থেকে মাত্র দুটি আসন পেয়েছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। আর তার মাত্র পাঁচ বছরের তফাতে সেই আসনসংখ্যা বেড়ে হয় ১৮! তারপর থেকেই বিজেপিতে যোগদানের হিড়িক ছিল চোখে পরার মতো । কিন্তু ফলাফলের ৫ মাস পেরতে না পেরতেই বিজেপির হাওয়া যে অনেকেই দমে গিয়েছে তা এখন অনেকের কাছেই স্পষ্ট । এদিকে বলা চলে তৃনমূলেরও একই অবস্থা । কারন দিনকে দিন অনেকেই বিশ্বাস হারিয়ে ফেলছেন তৃণমূলের প্রতি । আর এই জায়গায় দাড়িয়ে ভোটারদের মনে একটা দোলাচল তৈরি হয়েছে । মূলত, ১৯৭৭ সালে বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছিল কংগ্রেস । তারপর ৩৪ বছর একনাগারে রাজ্যপাট সামলেছে বামফ্রন্ট। সেদিক দিয়ে তাকিয়ে আজকের প্রজন্ম কিন্তু কংগ্রেসের সেই রাজত্ব দেখেনি। কিন্তু এখনকার নবপ্রজন্ম যখন বিকল্পের রাস্তা খুঁজতে শুরু করেছে, সেখানে বিজেপি, তৃনমূল ও সিপিএমকে বাদ দিয়ে তখন তারা সামান্য হলেও আস্তে আস্তে কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকছে । এর প্রধান কারন হল তাঁদের কাছে সংসদে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছে অধীর চৌধুরী ।

তবে একটা জিনিস লক্ষণীয় কংগ্রেস এখন লাগাতার আন্দোলনের পথে হাঁটতে শুরু করেছে, এবং সেখানে ১০ থেকে ২০ – ২০ থেকে ৪০ – ৪০ থেকে ১০০ জন লোক হতে শুরু করেছে। আর এই বিষয়টিকে সামনে রেখেই রাজনৈতিক মহলের একাংশ জানাচ্ছে হয়ত ২০২১ শে ফের দেখা মিলতে পারে কংগ্রেসের। কারন বিকল্প রাস্তা যখন তৃণমূলের পরিবর্তে বিজেপির ও সিপিএমে ভরসা নেই । তখন তৃণমূলের বিকল্প হিসেবে কংগ্রেসকেই ভরসা করছে তারা। কারন বিশুদ্ধতার দিক থেকে রাজ্য কংগ্রেস কিন্তু এখনও কংগ্রেসের জায়াগাতেই আছে । এমনকি দলে আয়ারাম- গয়ারামের প্রাধান্য নেই । আর এই বিশুদ্ধতার দিকে লক্ষ্য রেখে ২০২০ তে কংগ্রেসের পালে জোরদার হাওয়া লাগলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না ।