মিলে যাচ্ছে ভবিষ্যদ্বাণী, একুশের নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস জোটের মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থী অধীররঞ্জন চৌধুরী

156

১৯৭৭ সালে বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছিল কংগ্রেস । তারপর ৩৪ বছর একনাগারে রাজ্যপাট সামলেছে বামফ্রন্ট। সেদিক দিয়ে তাকিয়ে আজকের প্রজন্ম কিন্তু কংগ্রেসের সেই রাজত্ব দেখেনি। কিন্তু এখনকার নবপ্রজন্ম যখন বিকল্পের রাস্তা খুঁজতে শুরু করেছে, সেখানে বিজেপি, তৃনমূল ও সিপিএমকে বাদ দিয়ে তখন তারা সামান্য হলেও আস্তে আস্তে কংগ্রেসের দিকে ঝুঁকছে । এর প্রধান কারন হল তাঁদের কাছে যেমন সংসদে বিজেপির পাশাপাশি রাজ্যে তৃনমূলের কাছেও প্রতিবাদের মুখ হয়ে উঠেছেন অধীর চৌধুরী। আর এই অধীর চৌধুরীকে মুখ করে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে বামেদের সঙ্গ নিয়ে ‘মজবুত বিকল্প’ এবং ‘দ্বিধাহীন জোট’ গড়েই ভোটের ময়দানে নামতে চাইছে কংগ্রেস। জানা গিয়েছে, পুজো মিটলেই বামেদের সঙ্গে জোরকদমে শুরু হবে জোট-আলোচনা। অধীরকে ‘ভাবী মুখ্যমন্ত্রী’ হিসেবে ঘোষণার প্রস্তাব তখনই আনুষ্ঠানিক ভাবে বামেদের দেওয়া হবে বলে কংগ্রেস সূত্রের খবর। সূত্র মারফত আরও জানা গিয়েছে, পাঁচ বছর আগের মতো ‘অসম্পূর্ণ জোট’ এ বার কংগ্রেস চাইছে না। কংগ্রেস শিবিরের মতে, ২০১৬-র ভোটে কংগ্রেসের সঙ্গে বামেদের শুধুমাত্র ‘আসন সমঝোতা’ হয়েছিল। জোট নয়। বিমান বসু বা মহম্মদ সেলিমদের মতো নেতারা ‘জোট’ শব্দটি সচেতন ভাবে এড়িয়ে গিয়েছিলেন গোটা প্রচারপর্বেই। শুধু তা-ই নয়, সিপিএমের সঙ্গে কংগ্রেসের সমঝোতা মোটের উপরে মসৃণ হলেও সিপিআই, ফরওয়ার্ড ব্লক, আরএসপি-র মতো বাম শরিকরা সমঝোতা মানতে চায়নি। ফলে বেশ কিছু আসনে ‘বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াই’ হয়েছিল। এসংক্রান্ত আরও একটি খবরঃ  মিলে যেতে পারে ভবিষ্যৎবানী, ৪২ বছর পর রাজ্যে ক্ষমতায় আসার প্রস্তুতি নিচ্ছে কংগ্রেস?

 

এবিষয়ে এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যতম সাধারণ সম্পাদক ঋজু ঘোষাল বলেছেন, ‘‘এ বার আর ওই রকম কোনও জোট হবে না। আমরা জোট চাই। কিন্তু সিপিএম-কে মনে রাখতে হবে যে, কংগ্রেসের সঙ্গে সিপিএমের জোট হচ্ছে। কংগ্রেসের সঙ্গে বামফ্রন্টের জোট হচ্ছে। সিপিএম যদি ভাবে ওদের বিভিন্ন শরিকের মতো কংগ্রেসও আরেকটা শরিক হবে, তা হলে খুব ভুল হয়ে যাবে। মূলত, প্রাপ্ত ভোটের হারের ভিত্তিতে হিসেব হলে ২৯৪-এর মধ্যে অন্তত ১৪০টি আসনে আমাদের লড়া উচিত।’’ তবে ১৪০ আসনের দাবি তুলেই যে কংগ্রেস থামবে না, তা-ও স্পষ্ট করে দিচ্ছেন প্রদেশ কংগ্রেসের এই সাধারণ সম্পাদক। এদিকে, অধীর নিজে এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি। তবে তাঁর ঘনিষ্ঠরা জানাচ্ছেন, অধীর মনে করছেন, এ বার জোট হলে কংগ্রেসের সামনে দর কষাকষির সুযোগ গতবারের চেয়ে অনেক বেশি। ২০১৬ সালে আসন ভাগাভাগি হয়েছিল ২০১৪-র লোকসভা ভোটের ফলাফলের প্রেক্ষিতে। ২০১৪-র ভোটে কংগ্রেসের প্রাপ্ত ভোটের পরিমাণ বামেদের চেয়ে অনেকটাই কম ছিল। ফলে কংগ্রেসকে ৯২টি আসন ছেড়েছিল সিপিএম। অধীরের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এক তরুণ নেতার কথায়, ‘‘এ বার পরিস্থিতি আলাদা বলেই দাদা (অধীর) মনে করছেন। আগের বার অনেক আসন চেয়েও আমরা পাইনি। সিপিএম বলেছিল, যে সব আসন কংগ্রেস চাইছে, সেখানে তারা ২-৩% করে ভোট পেয়েছে। কিন্তু এ বার আর সিপিএমের পক্ষে সেটা বলা সম্ভব হবে না।