‘পে-কমিশন’ পাওয়া না পাওয়ার দোলাচলে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা

40

বেতন কমিশন কিংবা পে কমিশনের সুখবর এবছর পাবেন কি পাবেন না, বর্তমানে এরই দোলাচলে রয়েছেন রাজ্যের লক্ষ্য লক্ষ্য সরকারি কর্মচারীরা। কেননা গতকাল নবান্নে কাজের পর্যালোচনা বৈঠকের পরে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, ডিসেম্বরে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়লে যতটা সম্ভব বেতন বাড়ানো হবে। কিন্তু বেতন বাড়াতে গিয়ে রাজ্য সরকারের জনপ্রিয় প্রকল্পের কোনওটি বন্ধ করতে চান না তিনি। সাথেই তিনি বলেন, “কমিশন এখনও কাজ শেষ করতে পারেনি। তাই সরকারও কিছু করতে পারছে না। কমিশন রিপোর্ট জমা দেওয়ার জন্য ডিসেম্বর পর্যন্ত সময় চেয়েছে।” এনিয়ে তিনি কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারকে ডেকে কথা বলবেন বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।

উল্লেখ্য গত চার বছরে এখনও পর্যন্ত মোট পাঁচ বার পে কমিশনের মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়েছে । সাথেই সদ্য নির্বাচনের পরে শেষবার সাত মাসের জন্য কমিশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে যার সময় শেষ হচ্ছে আগামী ২৬ ডিসেম্বর। অর্থাৎ পে কমিশনকে পিছিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ২০১৫ নভেম্বর থেকে ২০১৯ এর শেষ পর্যন্ত । এক্ষেত্রে একটি সংবাদমাধ্যমের গতকালের একটি সংবাদের আলোড়ন পড়ে গেছে, সেই সংবাদে জানা গিয়েছে, এবিষয় নিয়ে তাঁরা বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান অভিরূপ সরকারকে ধরেছিলেন, অর্থাৎ অভিরূপ বাবু সেই সংবাদমাধ্যমকে একান্ত ভাবে জানিয়েছেন, কমিশন সময় চায়নি। এটা ভুল কথা। সরকারই কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়েছে।

এদিকে মুখ্যমন্ত্রীর কথার সাথে বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানের কথার অমিল ঘটে যাওয়ায় প্রশ্ন তুলেছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ, তাঁদের মতে সরকার তাহলে মিথ্যে কথা বলে লক্ষ্য লক্ষ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রতারিত করছেন? কারন যখন নবান্নে দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, বেতন কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়লে যতটা সম্ভব বেতন বাড়ানো হবে, সেদিক দিয়ে তাকিয়ে বেতন কমিশনের চেয়ারম্যানের কথার ঠিক উল্টো সুর পাওয়া যাচ্ছে । শুধু তাই নয় সেই অভিরুপ সরকার এও বলেছেন যে একবার নয়, দু-দুবার কমিশনের মেয়াদ বাড়িয়েছে রাজ্যে সরকার। তাহলে হয়ত সরকার ইচ্ছে করেই বেতন বাড়াতে চাইছে না । অর্থাৎ বলা যেতে পারে ২০১৫ সাল থেকে রাজ্যের লক্ষ্য লক্ষ্য সরকারি কর্মচারীর প্রতি যে বঞ্ছনা করেছে রাজ্য সরকার তাই আজ প্রকাশ্যে এসে পড়েছে ।কারণ বেতন কমিশনের চেয়ারম্যান বলেছে এককথা অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন ঠিক উল্টোকথা ।