সম্প্রতি তাজমহলের নীচে ২২টি ঘর খুলে দেখানোর আবেদন জানিয়েছিলেন এক বিজেপি নেতা। সোমবার কয়েকটি ঘরের ছবি প্রকাশ করল ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ (এএসআই)। ছবি প্রকাশ্যে এনে তারা জানিয়েছে, ঘরগুলোর সংস্কারকাজ চলছে। চারটি ছবিতে তারা সংস্কারের আগের এবং পরে ঘরগুলোর অবস্থা দেখিয়েছে। একইসঙ্গে জানানো হয়েছে, ওই ঘরগুলোর কোনো বিশেষত্ব নেই। একাধিক মুঘল স্থাপত্যে ওই ধরনের ঘর আছে। সংস্কারের কাজ হচ্ছে বলেই ঘরগুলো বন্ধ করে রাখা আছে বলে তাদের বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য,গত সপ্তাহে বিজেপির অযোধ্যা ইউনিটের মিডিয়া ইনচার্জ রজনীশ সিংহ এলাহাবাদ হাইকোর্টের লখনউ বেঞ্চে তাজমহলের ২২ বদ্ধ ঘর খুলে দেখানোর দাবি তোলেন। তার দাবি, তাজমহলের জায়গায় আগে একটি শিব মন্দির ছিল। যা তেজো মহালয়া নামে পরিচিত। লখনউ বেঞ্চ অবশ্য রজনীশের পিটিশন খারিজ করে দিয়েছে। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়ায় বিষয়টি নিয়ে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়। প্রশ্ন ওঠে, কেন তাজমহলের নীচের ২২টি ঘর বন্ধ করে রাখা আছে। কী তার রহস্য।
সোমবার এএসআই-য়ের পদক্ষেপ সেই বিতর্কে খানিকটা ইতি টানবে বলে মনে করা হচ্ছে। এএসআই ওই ঘরগুলোর ছবি প্রকাশ করে জানিয়ে দিয়েছে, সেখানে কোনো রহস্য নেই। মূলত, ১৯৭৮ সালের বন্যায় প্রবল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল ওই ঘরগুলো। তারপরেই একে একে সাধারণ দর্শকদের জন্য ঘরগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আগে যারা ওই ঘর দেখেছেন, তাদের বক্তব্য, ঘরগুলো মূলত সামার রুম হিসেবে তৈরি করা হয়েছিল। একাধিক মুঘল স্থাপত্যে এমন ঘর আছে। ওই ঘরে সম্রাট এবং তার সহচররা থাকতেন, সময় কাটাতেন। একসময় আগ্রা দুর্গ থেকে নদীপথে শাহজাহান তাজমহলে আসতেন। তাজমহলের ঘাট থেকে সরাসরি ওই ঘরগুলোতে পৌঁছানো যেত বলে দাবি করেছেন ইতিহাসবিদরা।
