আর ৩ মাসের মধ্যেই মানুষের হাতে চলে আসবে করোনার ভ্যাকসিন! দরকার শুধু ছাড়পত্রের

70

 

করোনা এখনো যায়নি, তবে তাকে পাশ কাটিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরছে মানুষ, প্রশ্ন এখনো,- কবে আসছে করোনার টীকা? তবে, খুশির খবর শোনালেন সেরামের চিফ একজিকিউটিভ অফিসার আদর পুনাওয়ালা, জানালেন, – “অক্সফোর্ডের ফর্মুলায় তৈরি তাদের কোভিশিল্ড টিকার চূড়ান্ত পর্বের ট্রায়াল রিপোর্ট জানানো হবে বছর শেষের আগেই, সুতরাং দেশের স্বাস্থ্যমন্ত্রক ও ড্রাগ কন্ট্রোলের অনুমতি পেলে আগামী বছর জানুয়ারিতেই আসবে করোনার টীকা। টিকার পরীক্ষামূলক প্রয়োগের ফল এখনও পর্যন্ত ইতিবাচক। ভারত ছাড়াও বিশ্বের ৯০টি দেশে পৌঁছে দেওয়া হবে এই টীকা।” সাথে জানিয়েছেন, – “ভ্যাকসিনের দাম হবে ভারতীয় টাকায় ২২৫ টাকা।” 

কিছুদিন আগেই এক সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাত্‍কারে সিরাম সিইও বলেছিলেন, ২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে টীকা চলে আসবে দেশের বাজারে। তবে, অক্সফোর্ডের ঘোষণার পরে সেরাম জানায়, ভ্যাকসিন রেগুলেটরি কমিটির অনুমোদন পেলে একুশ সালের জানুয়ারিতেই টিকা নিয়ে আসতে পারবে তাদের সংস্থা। প্রথম ধাপে মাসে ৬ থেকে ৭ কোটি টিকার ডোজ তৈরি হবে। পরে মাসে ১০ কোটি অবধি টিকার ডোজ উত্‍পাদন করবে সেরাম। সে প্রস্তুতিও রয়েছে তাদের। কোভিশিল্ড টিকার পাশাপাশি আরও চার রকমের টিকার ডোজ তৈরি করছে সেরাম ইনস্টিটিউট। সিইও বলেছেন, কোভোভ্যাক্স, কোভিভ্যাক্স, কোভি-ভ্যাক ও এসআইআই কোভ্যাক্স টিকার সেফটি ট্রায়াল করা হচ্ছে। এই ভ্যাকসিন ক্যানডিডেট গুলি সুরক্ষিত প্রমাণিত হলেই মানুষের শরীরে প্রয়োগ শুরু হবে। প্রতিটি টিকার অ্যান্টি-ভাইরাল গুণ আছে, যা সার্স-কভ-২ ভাইরাল প্রোটিন নিষ্ক্রিয় করে দিতে পারে। সিরামের এই ভ্যাকসিনের দাম যাতে কম থাকে তার জন্য অর্থ বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বিল গেটস, সেই জন্য তিনি ১৫০ মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবেন তিনি। সব মিলিয়ে একুশ থেকে বাইশ সালের মধ্যে করোনা টিকার প্রায় ১০০ কোটি ডোজ চলে আসবে ভারতের বাজারে, এমনটাও জানিয়েছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, ১৮ থেকে ৫৫ বছর বয়সী স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে এই ভ্যাকসিন পরীক্ষা করা হয়েছে, তবে, এখনও পর্যন্ত কোনও জটিল পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া বা অ্যাডভার্স সাইড এফেক্টস দেখা যায়নি, দাবী করেছেন আদর পুনাওয়ালার।