মোদির নবগঠিত মন্ত্রীসভার শিক্ষামন্ত্রীর ডক্টরেট ডিগ্রি ভুয়ো?

104

মোদির নবগঠিত মন্ত্রীসভার শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কর এর শিক্ষাগত যোগ্যতা ও তার নামের আগে লাগানো ডক্টরেট উপাধি নিয়ে বিরোধীপক্ষে তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩১ মে) ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং তার মন্ত্রীরা শপথ নিয়েছেন। আর সদ্য গঠিত মন্ত্রিসভায় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী হয়েছেন রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক। এদিকে মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের হাতেই থাকে ভারতের শিক্ষা বিভাগের দায়িত্ব। অর্থাৎ হরিদ্বারের বিজেপি সাংসদ রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্ক শিক্ষামন্ত্রী হিসেবেই নির্বাচিত হয়েছেন ।

প্রকাশ জাভড়েকরের হাত থেকে শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। কিন্তু যিনি শিক্ষা দপ্তরের দায়িত্ব নিয়েছেন তার নিজের শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে। নামের আগে ‘ডক্টর’ উপাধি ব্যবহার করেন রমেশ পোখরিয়াল। তার দাবি, শ্রীলঙ্কার ওপেন ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি তাকে জোড়া ডক্টরেট খেতাব দিয়েছে। ৯০-এর দশকে একবার সাহিত্যে অবদানের জন্য সেখান থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি পেয়েছিলেন। এরপর কয়েক বছর আগে ওই একই বিশ্ববিদ্যালয় তাকে বিজ্ঞানে অবদানের জন্য আবারও সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি দিয়েছিল।

তবে বিরোধী পক্ষের দাবি শ্রীলঙ্কায় কোনো রেজিস্টার্ড বিশ্ববিদ্যালয় নেই।এর আগেও রমেশ পোখরিয়াল নিশাঙ্কর সংসদে তার একটি বক্তব্য নিয়ে চরম শোরগোল পড়ে গিয়েছিল । সংসদে পোখরিয়াল মন্তব্য করেন, জ্যোতির্বিদ্যা বিজ্ঞানের চেয়ে এগিয়ে। তার এই দাবি নিয়ে রীতিমতো হাসির রোল পড়ে যায়।

সংসদে আলোচনায় তৎকালীন সাংসদ নিশাঙ্ক বলেছিলেন, ‘জ্যোতিষচর্চার কাছে বিজ্ঞান কিছুই নয়, তুচ্ছ ব্যাপার! জ্যোতিষচর্চাই হল সবচেয়ে বড় বিজ্ঞান। বিজ্ঞানের থেকেও এটা বড় বিষয়। আমাদের সত্যিই বিষয়টি নিয়ে প্রচার করা উচিত।’তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমরা আজকাল পরমাণু বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করি। কিন্তু লক্ষ বছর আগেই কণাদ পরমাণু পরীক্ষা করেছিলেন। অঙ্গ প্রতিস্থাপনের জ্ঞানও অনেক দিন আগে থেকে রয়েছে আমাদের।’