ভারতের কাছে হাত পেতে ভিক্ষা চাইছে পাকিস্তান! জবাবে, কি বললেন মোদী?

বন্যায় বিধ্বস্ত পাকিস্তান, মোট জনসংখ্যার প্রায় ৩ কোটি ৩৩ লাখ মানুষ বন্যার কবলে পড়েছে। যা দেশটির জনসংখ্যার ১৫ শতাংশ গতকাল এই তথ্য পেশ করেছে পাকিস্তান সরকার। আর পরিস্থিতি সামাল দিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সাহায্যের অনুরোধ করেছে পাকিস্তান। এরইমাঝে ব্রিটেন, আমেরিকা,ভারত, সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশ পাকিস্থানের ডাকে সাড়া দিয়েছে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী প্রতিবেশি দেশের এই বিপদ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য প্রার্থনা করে লিখেছেন, “পাকিস্তানে ধ্বংসযজ্ঞ দেখে আমি দুঃখিত। আমরা ক্ষতিগ্রস্তদের পরিবার, আহত এবং এই প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত সকলের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানাই এবং স্বাভাবিক অবস্থার দ্রুত পুনরুদ্ধারের কামনা করছি।” এদিকে মোদীর এই প্রার্থনাকে বিশেষজ্ঞ মহলের একাংশ বলছে, মোদী প্রার্থনা করেছেন ঠিকই কিন্তু সাহায্যের কথা ঘোষণা করেননি। এককথায় যেন জুতো মেরে গরু দান করলেন তিনি! 

এরই পাশাপাশি আজ বিধ্বংসী বন্যার কারণে লাহোর এবং পঞ্জাব প্রদেশের অন্যান্য অংশে বিভিন্ন শাকসবজি এবং ফলের দামের ব্যাপক বৃদ্ধি পেয়েছে। লাহোর বাজারের একজন পাইকারি ব্যবসায়ী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে লাহোরের বাজারে প্রতি কেজি টমেটো এবং পেঁয়াজ যথাক্রমে প্রায় ৫০০ এবং ৪০০ টাকায় পাওয়া যাচ্ছে । তবে আগামী দিনগুলিতে পণ্যের দাম আরও বাড়বে কারণ বন্যার কারণে বেলুচিস্তান, সিন্ধু এবং দক্ষিণ পঞ্জাব থেকে সবজির সরবরাহ প্রভাবিত হয়েছে। যেকারনে, ‘আগামী দিনগুলিতে, প্রতি কেজি পেঁয়াজ এবং টমেটোর দাম ৭০০ টাকা ছাড়িয়ে যেতে পারে। একইভাবে, আলুর দাম প্রতি কেজি ৪০ টাকা থেকে বেড়ে ১২০ টাকা প্রতি কেজি হয়েছে’। এদিকে লাহোর মার্কেট কমিটির সেক্রেটারি শেহজাদ চিমা জানিয়েছেন, ‘তোরখাম সীমান্তে প্রতিদিন একশ কন্টেনার টমেটো এবং প্রায় ৩০টি কন্টেনার পেঁয়াজ আসছে। এর মধ্যে প্রতিদিন দুটি কন্টেনার টমেটো এবং একটি কন্টেনার পেঁয়াজ লাহোর শহরে আনা হচ্ছে এবং কন্টেনারের সংখ্যা একেবারেই কম’। যারফলে সরকার শেষ পর্যন্ত ভারত থেকে পেঁয়াজ এবং টমেটো আমদানি করবে। পাশাপাশি পাক অর্থমন্ত্রী মিফতাহ ইসমাইল বলেছেন,”দেশকে মুদ্রাস্ফিতির হাত থেকে বাঁচাতে যদি এই পদক্ষেপ নিতে হয় তো নেওয়া হবে।”

উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে জম্মু ও কাশ্মীরকে একটি বিশেষ মর্যাদা প্রদানকারী ধারা ৩৭০ প্রত্যাহার করার ভারতের সিদ্ধান্তের পরে ভারত-পাক বাণিজ্য সম্পর্কের অবনতি ঘটে। তবে এবছরের বন্যার কারণে ফল ও শাকসবজি সরাবরাহ ব্যহত হওয়ার আশঙ্কা থাকায় তিন বছর পর ফের একবার ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যের কথা ভাবছে পাকিস্তান। প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরীফের নেতৃত্বাধীন সরকার ভারতের সাথে বাণিজ্য পুনরায় শুরু করার একটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক জল্পনা প্রসঙ্গে বাণিজ্য মন্ত্রকের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে “ভারতের সাথে বাণিজ্যের বিষয়ে পাকিস্তানের নীতিতে কোনও পরিবর্তন নেই।”