ধর্ষণকারীদের জনসমক্ষে গণপিটুনি দেওয়া উচিত,রাজ্যসভায় বললেন জয়া

38

ধর্ষণকারীদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে মারা উচিত।তেলেঙ্গানা গণধর্ষণ কান্ডে রাজ্যসভায় কড়া ভাষায় নিন্দা করলেন সাংসদ জয়া বচ্চন।পাশাপাশি দেশের নারী ও শিশুদের সুরক্ষার বিষয় নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, এই সমস্ত লোকেদের জনসমক্ষে গণপিটুনি দেওয়া উচিত। এককদম এগিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে ভর্ৎসনার সুরে তিনি বলেন, ‘যদি আপনারা নিরাপত্তা দিতে না পারেন তাহলে বিচারের ভার সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিন। নির্ভয়া হোক, কাঠুয়া হোক বা তেলেঙ্গানাই হোক, আমার মনে হয় সময় এসেছে যখন আমজনতা সরকারের কাছ থেকে এই বিষয়ে একটি সঠিক এবং সুনির্দিষ্ট উত্তর জানতে চায়।’ সে রাজ্যের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও আইশৃঙ্খলা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন জয়া। এদিন তাঁর আগে গণধর্ষণের ঘটনায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে রীতিমতো কান্নায় ভেঙে পড়েন এআইএডিএমকে-র সংসদ সদস্য বিজিলা সত্যনাথ। তিনি বলেন, আমার দেশে শিশু এবং মহিলারা মোটেই নিরাপদ নয়। পাশাপাশি তেলেঙ্গানা গণধর্ষণে অভিযুক্তদের অবিলম্বে ফাঁসিতে ঝোলানোর দাবিও তোলেন তিনি। সোমবার লোকসভা এবং রাজ্যসভায় উপস্থিত সরকার এবং বিরোধী পক্ষের প্রায় সকলেই এই ধর্ষণকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেন। তবে জয়া বচ্চনের মন্তব্যে ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় তুলেছেন নেটিজেনদের একাংশ। তাঁদের মতে, একজন সাংসদ হয়ে রাজ্যসভায় দাঁড়িয়ে গণপিটুনির নিদান একেবারেই অনুচিত।

উল্লেখ্য, বুধবার রাতে হায়দরাবাদে ২৬ বছর বয়সি এক পশুচিকিৎসককে গণধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে চারজন অভিযুক্তকে। পুলিস সূত্রে খবর, গত বুধবার অভিযুক্তরা ওই যুবতীকে গণধর্ষণ করে এবং তাঁকে মেরে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। এরপর রাত আড়াইটা নাগাদ চাট্টানপল্লি এলাকায় কালভার্টের নীচে তাঁর দেহটিতে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এই ঘৃণ্য ঘটনার প্রতিবাদে তেলেঙ্গানা সহ গোটা দেশজুড়ে প্রতিবাদ শুরু হয়। এরপরই কার্যত পরিস্থিতির চাপে পড়ে চারজন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে পুলিস। তদন্তে গাফিলতির অভিযোগে তিন পুলিস কর্মীকেও আপাতত বরখাস্ত করা হয়েছে।