আরে হাম তো ফকির আদমি হ্যা, ঝোলা লেকে চল পারেঙ্গে জি। তবে জানেন কি? এই ঝোলা নিয়ে গত ৫ বছরে ৩৬টি বিদেশ সফর করে ফেলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর এই পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীর বিভিন্ন বিদেশ সফরে প্রায় ২৩৯ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রাজ্যসভায় জানিয়েছেন বিদেশ মন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী ভি মুরালিধরন। পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছেন যে এই সফরগুলি বিদেশি বিনিয়োগ আসার ক্ষেত্রে এবং আন্তর্জাতিক মঞ্চে ভারতের দৃষ্টিভঙ্গি বোঝাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। তবে করোনার কারণে ২০১৯-এর নভেম্বরের পর থেকে ২০২১-এর মার্চ পর্যন্ত করোনার কারণে প্রধানমন্ত্রী বিদেশ সফরে যাননি।
উল্লেখ্য, গত পাঁচ বছরে প্রধানমন্ত্রীর আমেরিকা সফরে সবচেয়ে বেশি খরচ হয়েছে। ২০১৯-এর ২১ থেকে ২৮ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী মোদী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সফর করেন। তাতে ২৩ কোটি ২৭ লাখ নয় হাজার টাকা খরচ হয়। ২০০৮-এর ২৮ নভেম্বর থেকে ৩ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আর্জেন্টিনা সফরে খরচ হয়েছে ১৫ কোটি ৫৯ লাখ ৮৩ হাজার কোটি টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি খরচের সফরের তালিকায় প্রথম দুইটি সফর হলো আমেরিকা ও আর্জেন্টিনা সফর। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী মোদী ২০১৮ সালে ১৪ কোটি ৯১ লাখ ৬৮ হাজার টাকা দিয়ে ফ্রান্স, বাহরিন ও আমিরাত সফর করেন। ২০১৯-এ তার দুইদিনের রাশিয়া সফরে খরচ হয়েছিল ১২ কোটিরও বেশি। ২০১৮-তে সুইজারল্যান্ডের দাভোস সফরে প্রধানমন্ত্রীর জন্য খরচ হয়েছিল ১৩ কোটি টাকার বেশি। ২০১৮তে ফিলিপাইন্স সফরে এবং ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুর সফরে ১০ কোটির বেশি খরচ হয়। একই বছরে রাওয়ান্ডা, উগান্ডা ও সাউথ আফ্রিকা সফরে খরচ হয় ১৪ কোটির বেশি। গতমাসে মোদী যে ইন্দোনেশিয়া সফরে গেছিলেন, তাতে ৩২ লাখ টাকারও বেশি খরচ হয়েছে।
প্রসঙ্গত প্রতিমন্ত্রী মুরলীধরণ বক্তব্য, প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফরের উদ্দেশ্য হলো, বিভিন্ন দেশের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলা এবং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নেওয়া। জাতীয় স্বার্থে ও সফল পররাষ্ট্রনীতির জন্য এই সফর খুবই জরুরি। এই সব সফরের ফলে ভারতের প্রভূত লাভ হয়ছে। বন্ধু দেশগুলি বিভিন্ন বিষয়ে ভারতের অবস্থান বুঝতে পেরেছে। সন্ত্রাসবাদ-বিরোধী পদক্ষেপ, সাইবার সিকিউরিটি, জলবায়ু পরিবর্তনের মতো বিষয়গুলিতে ভারত উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নিতে পেরেছে।
